গোলাপগঞ্জে পুলিশের গুলিতে নিহত ৬, আহত ২০০
- সৈয়দ জেলওয়ার হোসেন স্বপন, গোলাপগঞ্জ (সিলেট)
- ০৪ আগস্ট ২০২৪, ১৭:১৩, আপডেট: ০৫ আগস্ট ২০২৪, ০০:১১
চলমান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সিলেটের গোলাপগঞ্জে পুলিশের গুলিতে ছয়জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী, পথচারী, শ্রমিক ও ব্যবসায়ী।
রোববার (৪ আগস্ট) আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
পুলিশের গুলিতে নিহতরা হলেন উপজেলার বারকোট গ্রামের মৃত মকবুল আলীর ছেলে তাজ উদ্দিন (৪০), ঘোষগাঁও ফুলবাড়ি গ্রামের গৌছ উদ্দিন (৩৫), শিলঘাট গ্রামের কয়ছর আহমদের ছেলে সানি আহমদ (২২), দক্ষিণ রায়গড় গ্রামের মৃত সুরই মিয়ার ছেলে হাসান আহমদ (২০), দত্তরাইল বাসাবাড়ি এলাকার আলাই মিয়ার ছেলে মিনহাজ আহমদ (২৩) ও একই উপজেলার নিশ্চিন্ত গ্রামের মৃত তৈয়ব আলীর ছেলে নাজমুল ইসলাম।
এদিকে ব্যবসায়ী তাজ উদ্দিন পুলিশের গুলিতে নিহত হওয়ার সংবাদ চারদিকে চাউর হলে স্থানীয়রা পুলিশও বিজিবিকে ধাওয়া করে এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করে কয়েক লাখ টাকার ক্ষতি করেছেন বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়।
এদিকে সকাল থেকে সমগ্র উপজেলায় ছাত্র আন্দোলনে বিজিবির গাড়ি ও পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর, পুলিশের মোটরসাইকেল আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয়। পুলিশ উপজেলার ঢাকাদক্ষিণ বাজার, বারকোট এলাকায় হাসপাতাল সংলগ্ন ও গোলাপগঞ্জ উপজেলা সদরে রবার বুলেট ও গুলি ছুড়লে প্রায় ২ শতাধীক শিক্ষার্থী, পথচারী, ব্যবসায়ী ও শ্রমিক আহত হয়েছেন। আহতদের উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের সকলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এদিকে তাজ উদ্দিন পুলিশের গুলিতে নিহত হওয়ায় এলাকাবাসী তার লাশ নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে গোলাপগঞ্জ থানা ঘেরাও করেন।
এই সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে উপজেলা হাসপাতালের সম্মুখে স্থানীয় জনতা লাঠিসোঁটা নিয়ে উপজেলার সিলেট-গোলাপগঞ্জ-ঢাকা দক্ষিণ সড়ক অবরোধ করে পুলিশ ও বিজিবিকে ধাওয়া করলে পুলিশ গুলিবর্ষণ করে। এতে ব্যবসায়ী তাজ উদ্দিনসহ দুইজন নিহত হন। আহত হন অনেকেই। এতে করে সমগ্র উপজেলা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। শিক্ষার্থীদের সাথে স্থানীয় সাধারণ মানুষ মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে আন্দোলনে যুক্ত হন।
এ ব্যাপারে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাছুদুল আমিনের সাথে মোবাইলফোনে যোগাযোগ করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি ফলে তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
উপজেলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক চারজন নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। অপর দুইজন সিলেট ওমেক হাসপাতালে মারা যান। সমগ্র উপজেলা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। শিক্ষার্থীদের অসহযোগ আন্দোলনে সাধারণ মানুষযুক্ত হয়েছেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা