২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় হত্যা মামলার আসামি জালাল গ্রেফতার

ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় হত্যা মামলার আসামি জালাল গ্রেফতার - ছবি : নয়া দিগন্ত

হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে ২০০ টাকা বিরোধের জেরে আফরোজ মিয়াকে (৪৬) কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় মো: জালাল মিয়া (২৭) নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

সোমবার (৮ জুলাই) বিকেলে ঘটনার ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়।

জালাল চুনারুঘাট উপজেলার গনকিনপাড় হুরার টিলা এলাকার মো: জহুর হোসেনের ছেলে।

এ তথ্য নিশ্চিত করেন চুনারুঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হিল্লোল রায়।

তিনি জানান, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা জানতে পারি ভারতে পালিয়ে যাবে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে থানার উপপরিদর্শক এসআই লিটন রায়ের নেতৃত্বে সহকারী উপপরিদর্শক এএসআই মনির হোসাইনসহ একদল পুলিশ দুপুরে ভারত সীমান্তবর্তী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে গত শুক্রবার (৫ জুলাই) দুপুরে ওই এলাকার ইসহাকের মেয়ের জামাই রতন মিয়া স্থানীয় শিরিনার দোকান থেকে বাকিতে ২০০ টাকার সদাই করেন। পরদিন বিকেলে টাকা চান দোকানদার শিরিনা। ওই সময় টাকা পরিশোধ করতে অনীহা প্রকাশ করেন রতন মিয়া। এ নিয়ে শিরানা ও রতনের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে শিরিনার দোকানে ভাঙচুর চালায় রতন। ওই সময়ে উপস্থিত ছিলেন নিহতের ভাই তাজুল মিয়া। তিনি রতনকে চড়-থাপ্পড় দিয়ে শিরিনার টাকা পরিশোধ করতে বলেন। এ সময় তাদের মধ্যেও বাকবিতণ্ডা হয়। পরদিন শনিবার সন্ধ্যায় উভয় পক্ষের মুরুব্বীরা বিরোধ নিষ্পত্তি করেন এবং ২০০ টাকা শিরিনা দোকানদার পাবে মর্মে সিদ্ধান্ত দেন। এই ক্ষোভে শনিবার রাতে নিহত আফরোজের ঘরে ঢিল ছুড়ে অভিযুক্ত রতন। বিষয়টি রতনের শ্যালক রুবেলকে জানানো হয়। এ নিয়ে ফের বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে গত ৭ জুন গভীর রাতে পূর্বপরিকল্পিতভাবে মো: আফরোজ মিয়াকে রাতের অন্ধকারে কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহতর স্ত্রী শাহেনা আক্তার জালালসহ সাতজনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা করেন। এরপরই পুলিশ জড়িতদের গ্রেফতারে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে জালালকে গ্রেফতার করে।’

এ দিকে গত রোববার বিকেলে নিহত আফরোজ মিয়ার লাশ ময়নাতদন্ত শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হয়।


আরো সংবাদ



premium cement