০৮ জুলাই ২০২৪, ২৪ আষাঢ় ১৪৩১, ১ মহররম ১৪৪৬
`

বন্যায় জামালগঞ্জে সড়ক যোগাযোগের বেহাল দশা

বন্যায় জামালগঞ্জে সড়ক যোগাযোগের বেহাল দশা - ছবি : নয়া দিগন্ত

বন্যায় সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলা শহরের অভ্যন্তরীন সড়ক যোগাযোগের বেহাল দশার কারনে যানবাহনে রোগী ও যাত্রী চলাচলে চরম দুর্ভোগ আর দুর্দশা যেন পিছু ছাড়ছে না।

২০২২ সালের বন্যায় অভ্যন্তহীন সড়ক যোগাযোগের ক্ষেত্রে বিগত কয়েক বছর ধরে এই দুর্ভোগ সয়ে সয়েই চলতে হচ্ছে উপজেলাবাসীর। অপরিকল্পিত রাস্তা ঘাট নির্মানে সরকারের লাখ-লাখ টাকা গচ্ছা যাচ্ছে।

উপজেলার শহর ও শহরতলীর রাস্তা-ঘাট ভাঙ্গা চুড়া, খানাখন্দ ও ইট সলিং থাকার কারনে যাত্রী সাধারণ চলাচলে খুব বিপাকে পড়েছেন। উপজেলা শহরের প্রবেশদ্বার নতুন পাড়া থেকে শাহাপুর বাঁধবাজার পর্যন্ত খানা খন্দের কারণে রোগী, বয়ষ্ক মানুষ ও শিশুদের নিয়ে যাতায়াতের ক্ষেত্রে কয়েক বছর ধরে অসহনীয় দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন মানুষজন। দেখার যেন কেউ নেই। নয়াহালট গ্রাম থেকে দক্ষিণ কামলাবাজ হয়ে খেয়া ঘাট পর্যন্ত, জামালগঞ্জ-সেলিমগঞ্জ সড়কের বিভিন্ন স্থানে সড়ক গুলোতে চলা চলে অবর্ণনীয় কষ্টে রয়েছেন এলাকাবাসী। এই সড়ক গুলোর ভাঙ্গা স্থানে প্রায়ই দুর্ঘটনায় খবর পাওয়া যায়।

স্থানীয়রা বলেছেন, এসব রাস্তায় বিগত কয়েক বছরে অপরিকল্পিতভাবে প্রায় কোটি টাকার কাজ হয়েছে। যেকোনো কাজই টেকসই ও সুদুর প্রসারী পরিকল্পনা না থাকায় উপজেলার অনেক কাজের দেয়াল ও গাইড ওয়াল ভেঙে পড়ে আছে। এতে প্রতি বছরই সরকারের লাখ-লাখ টাকা গচ্ছা যাচ্ছে। রাস্তা ঘাটের এমন দুর্দশায় নাগরিক সেবার মান তিমিয়েই রয়েছে।

এ পথে চলাচলকারী যাত্রী মনির হোসেন বলেন, নতুন পাড়া থাইকা বাধবাজার পর্যন্ত এর রাস্তাডা কি রাস্তা রইছে। আমরা রিকশা দিয়া গেলেই বুক কাঁপে। মরার কষ্ট বুঝার কেউ আছেনি। আল্লার কাছে কই, আল্লাহ যেন দেখে।

রিকশাচালক আজিজ মিয়া বলেন, এই রাস্তাটার কারণে রিকশার অনেক সময় প্যাসিঞ্জার উঠে না। আমরা গরিব মানুষ কি করমু তারপরও রিকশা চালাইয়া যাই, কয়েক বছর ধইরা এই কষ্ট ভোগ করতাছি কেউ এইডা খোঁজও নেয় না। ইলেকশন আইলে বড় বড় নেতা-নেত্রীরা সব দিবার কথা কয়, ইলেকশন শেষে নেতারার পাত্তাই পাওয়া যায়না।

অটো গাড়িচালক জয় মিয়া বলেন, কি কইতাম চাচা, আমার কওয়ার কিচ্ছু নাই, মনের কষ্ট মনেই থাক। ইলেকশন আইলে কত কিছু দিবার কথা কইয়া ভোট নেয়। আমরাও সরল মনে ভোট দেই। পরে কথায় আর কাজে মিল পাইনা। কাউরেই দোষী না সবই আমরার কপালের ফের।

জামালগঞ্জ উপজেলার উপ-সহকারী প্রকৌশলী আনিছুর রহমান বলেন, নয়াহলট-দক্ষিণ কামলাবাজ হয়ে খেয়া ঘাট সড়ক নতুনপড়া-শাহাপুর বাঁধবাজার সড়ক সংস্কারের প্রকল্প তৈরি করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। ফ্লাড প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করে কাজের আশ্বাস দেয়া হয়েছে। বরাদ্দ পেলে শুষ্ক মওসুমে কাজের শুরু হতে পাড়ে।


আরো সংবাদ



premium cement