দোয়ারাবাজারে ফের বন্যায় তলিয়ে গেল রাস্তাঘাট
- সোহেল মিয়া, দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ)
- ০২ জুলাই ২০২৪, ১৪:৩৮
গত পাঁচ দিনের টানা বর্ষণ আর ভারতের মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জিতে ভারি বৃষ্টিপাতে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে দেখা দিয়েছে তৃতীয় দফা বন্যা। সুরমা, চেলা, মরা চেলা, চিলাই, চলতি ও খাসিয়ামারাসহ সকল নদনদীর উপচে পড়া ঢলে কানায় কানায় ভরে গেছে উপজেলার সদরের সাথে যোগাযোগ প্রধান প্রধান সড়ক, নিম্ন অঞ্চলের মাঠঘাট তলিয়ে গেছে।
উপজেলা সদরের সাথে সুরমা, লক্ষীপুর,বোগলা, নরসিংপুর ইউনিয়নের মানুষজনদের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। উপজেলার নতুন নতুন বিভিন্ন গ্রামের অনেক বাড়িঘরের আঙিনায় আবারো পানি উঠতে শুরু করেছে। মাত্র ১৫ দিনের ব্যবধানে দ্বিতীয় দফা বন্যার পানি মাঠঘাট থেকে নামার আগেই ফের বন্যার অশনি সঙ্কেতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন উপজেলার লোকজন। এ যেন ‘মরার উপর খাড়ার ঘা’।
সুনামগঞ্জের পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৩০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। একইসাথে নেমেছে উজানের পাহাড়ি ঢল। একারনে দোয়ারাবাজার উপজেলায় অনেক রাস্তাঘাট প্লাবিত হয়েছে। নদী তীরবর্তী এলাকাগুলোতে বন্যার পানি ঢুকেছে। মূলত ভারতের চেরাপুঞ্জিতে বেশি বৃষ্টি হলে দোয়ারাবাজার উপজেলায় পাহাড়ি ঢল নেমে পরিস্থিতির অবনতি হয়।
ভারতের মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জিতে গতকাল সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টি হয়েছিল ৩১৩ মিলিমিটার। একই সময়ে সুনামগঞ্জে বৃষ্টি হয়েছিল ১৭০ মিলিমিটার। এর পরের ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টি হয় ৩০০ মিলিমিটার। ঢলের এসব পানি আর তুমুল বৃষ্টির কারণে দোয়ারাবাজারে আবার বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।
এদিকে, মঙ্গলবার সকালে পাহাড় থেকে নেমে আসা ঢলের শ্রোতে উপজেলা সদরে সুরমা নদীতে খেয়া নৌকা ডুবে শিশুসহ তিনজন নিখোঁজ হয়েছে। এঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরী দল কয়েকঘন্টা অভিযান চালিয়ে ও কাউকে উদ্ধার করতে পারেনি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা