দোয়ারাবাজারে বন্যায় ৩৭টি ক্ষতবিক্ষত সড়ক
- সোহেল মিয়া, দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ)
- ২৭ জুন ২০২৪, ১৪:১২
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে এবারের বন্যায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) উপজেলা সড়ক, ইউনিয়ন সড়ক, গ্রামীন সড়কসহ ৩৭টি কাঁচা-পাকা রাস্তা ও তিনটি ব্রিজ-কালভার্টের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এর সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে কমপক্ষে ৫০ কোটি টাকারও বেশি।
উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, চলতি বছরের বন্যায় দোয়ারাবাজার উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগের পাঁচটি প্রধান সড়কসহ ৩৭টি কাঁচা-পাকা সড়ক পানিতে নিমজ্জিত হয়। পানির প্রবল স্রোতে ছোট-বড় এই ৩৭টি কাঁচা-পাকা রাস্তার ১০০ কিলোমিটারের বিভিন্ন অংশ ধসে ব্যাপক ক্ষতি হয়। একইসাথে বন্যার কারণে তিনটি ব্রিজ-কালভার্টও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কিছু কিছু এলাকায় বন্যার পানি রাস্তা থেকে নেমে যাওয়ার পর রাস্তায় অসংখ্য খানাখন্দক দেখা যায়। বিঘ্ন ঘটে জনযান চলাচলে।
ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলো হলো, দোয়ারাবাজর-আমবাড়ি বাজার-ভায়া-বোগলাবাজার হরিনাপাটি-২৬ দশমিক ৯ কিলোমিটার সড়কে ক্ষয়ক্ষতি ৭০ লাখ টাকা। বালিউরা (ডিসিএম)-দোয়ারাবাজার ১০ দশমিক ৬ কিলোমিটার সড়ক ক্ষয়ক্ষতি ৫০ লাখ টাকা। ছাতক-ভায়া-সুনামগঞ্জ-ভায়া-দোয়ারাবাজার ১০ দশমিক ৬ কিলোমিটার সড়ক ক্ষয়ক্ষতি ৯০ লাখ টাকা। দোয়ারাবাজার থেকে বড়কাপন ১৫ দশমিক ৮০ কিলোমিটার সড়ক ক্ষয়ক্ষতি ২ কোটি টাকা। বাংলাবাজার থেকে নরসিংপুর ৯ কিলোমিটার সড়ক ক্ষয়ক্ষতি ৫০ লাখ টাকা। দোয়ারাবাজার থেকে আজমপুর-শ্যামল বাজার ৬ দশমিক ৫ কিলোমিটার সড়ক ক্ষয়ক্ষতি ৬৫ লাখ টাকা। বোগলাবাজার থেকে বাংলাবাজার ৪ দশমিক ২৫ কিলোমিটার সড়ক ক্ষয়ক্ষতি ৫০ লাখ টাকা।
এছাড়াও উপজেলার নয়টি ইউনিয়নে আরো অসংখ্য গ্রামীন সড়ক ভেঙে গিয়ে চলাচলে দূর্ভোগে পড়েছেন উপজেলাবাসী। এতে উপজেলা প্রকৌশল অধিদফতরের কার্যালয় থেকে ৫০ কোটি টাকা ক্ষয়ক্ষতির হিসেব করা হয়েছে। বন্যার পানি পুরোটা সরে গেলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান আরো বাড়বে বলেও জানানো হয়েছে।
দোয়ারাবাজার উপজেলা প্রকৌশলী মো: আব্দুল হামিদ বলেন, দোয়ারাবাজারে বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৫০ কোটি টাকা। অচিরেই এই সম্ভাব্য ক্ষতির হিসেবটি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরে পাঠানো হবে বলেও জানান তিনি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা