২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

বন্যায় বিপর্যস্ত সিলেটে দেখা মিলেছে রোদের

- ছবি : সংগৃহীত

অতিবর্ষণ আর পাহাড়ি ঢলে বিপর্যস্ত সিলেটে রোদের দেখা মিলেছে। প্রায় পাঁচ দিন পর রৌদ্রজ্জ্বল সকালে মানুষের মনে কিছুটা স্বস্তি দিয়েছে। এ দিকে, সিলেটের বেশ কয়েকটি নদ-নদীর পানি বিভিন্ন পয়েন্টে কমেছে। ফলে বিভিন্ন এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে।

শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) দেয়া তথ্যমতে, সিলেটের সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট ও সিলেট পয়েন্টে এবং কুশিয়ারা নদীর পানি অমলশিদ, শেওলা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও শেরপুর পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

শুধুমাত্র ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে কুশিয়ারা নদীর পানি দশমিক ১ সেন্টিমিটার বাড়া ছাড়া বিভিন্ন জায়গায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার হিসাব অনুযায়ী পানি কমেছে কয়েক সেন্টিমিটার।

পাউবোর তথ্যানুযায়ী, সুরমা নদীর পানি সিলেট পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৬ সেন্টিমিটার ও কানাইঘাট পয়েন্টে ৬৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

অন্যদিকে, কুশিয়ারা নদীর পানি আমলসীদ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৬১ সেন্টিমিটার, শেওলা পয়েন্টে ১৩ সেন্টিমিটার, ফেঞ্চুগঞ্জে ১ দশমিক ২ সেন্টিমিটার ও শেরপুর পয়েন্টে ২৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

সিলেট আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মোহাম্মদ সজীব হোসাইন জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টির পরিমাণ ছিল ২০ মিলিমিটার। বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে আজ সকাল পর্যন্ত কোনো বৃষ্টিপাত হয়নি।

এ দিকে, সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে সিলেটে কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। চলমান বৃষ্টিপাত আগামী পাঁচ দিন অব্যাহত থাকার পূর্বাভাস দিয়েছে সংস্থাটি।

বৃহস্পতিবার আবহাওয়া অধিদফতরের দেয়া পূর্বাভাসে এসব কথা জানানো হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদফতর আরো জানায়, বৃহস্পতিবার বিকেলে সারাদেশে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কিছুটা কমলেও রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় তা অব্যাহত থাকবে।

এর আগে, গত তিন সপ্তাহে সিলেট নগরীতে অতি ভারী বৃষ্টিতে পাঁচবার তলিয়েছে শতাধিক এলাকা। জলাবদ্ধতায় ভুগেছে নগরবাসী। পরে উজান থেকে নেমে আসা পানিতে সুরমাসহ সিলেটের নদ-নদীগুলো বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এতে সিলেটের সবগুলো উপজেলায় বন্যা দেখা দিয়েছে। গত ২৯ মে ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে সিলেটে বন্যা দেখা দিয়েছিল। ৮ জুনের পর থেকে বন্যা পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে আসে। সর্বশেষ ১৭ জুন সোমবার ভোরে শুরু হওয়া অবিরাম বৃষ্টিতে আবারো জেলায় বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। ২০২২ সালের মে মাসে ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টিতে নগর প্লাবিত হয়েছিল।

সূত্র : ইউএনবি


আরো সংবাদ



premium cement