কুলাউড়ার বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি
- ময়নুল হক পবন, কুলাউড়া (মৌলভীবাজার)
- ২০ জুন ২০২৪, ১৯:১৮
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন ও কুলাউড়া পৌরসভার বৃহৎ অংশ ঈদের দিন থেকে বন্যায় প্লাবিত হয়ে গত ৪ দিনে লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন।
বৃহস্পতিবার বৃষ্টি না হলেও উজানের পানিতে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি ঘটেছে বলে জানা গেছে।
পৌর এলাকার মাগুরার বাসিন্দারা জানান, বন্যার পানির যে অবস্থা ২০২২ সালের বন্যার মতো জলাবদ্ধতা দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে। বৃহস্পতিবার পৌর এলাকার উত্তর মাগুরা, উপজেলা টিটিডিসিএরিয়া, সাদেকপুর, আহমদাবাদ, বিহালা, সোনাপুর, হাসপাতাল এরিয়া ঘুরে দেখা গেছে, সবকটি সড়কে কোমর পানি। মানুষ একেবারে পানিবন্দী। ঘর থেকে বের হওয়ার কোনো ব্যবস্থা নেই। নৌকা আহমদাবাদ ও রাবেয়া স্কুল থেকে চলাচল করলেও তা খুবই সংখ্যায় কম। বাসার মানুষজন ঘর থেকে বের হতে পারছেন না। অনেকে বাধ্য হয়ে কোমর সমান পানি পেরিয়ে বাজার-সদাইয়ের জন্য বের হচ্ছেন। এককথায় পৌরবাসীকে বেকায়দায় ফেলে দিয়েছে বন্যা।
এছাড়াও উপজেলার ৬ ইউনিয়নে বন্যায় লাখো মানুষ পানিবন্দী হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ত্রাণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, হাকালুকি হাওর এলাকার ভুকশিমইল ইউনিয়নের ৩৫ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। এছাড়াও জয়চন্ডি ইউনিয়নের ১০টি গ্রামের ১৫ হাজার পৌরসভার ১২টি গ্রামের ২০ হাজার, সদর ইউনিয়নের ২টি গ্রামের ২ হাজার, ব্রাহ্মণবাজারের ১০টি গ্রামের ১৫ হাজার, কাদিপুরের ২০ হাজার, ভাটেরা ও বরমচাল ইউনিয়নের ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন।
এদিকে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ২৪টির আশ্রয় কেন্দ্র খুলা হয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে ত্রাণ একেবারে অপ্রতুল বলে জানা গেছে।
ভুকশিমইল চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান মনির জানান, ভুকশিমইল ইউনিয়নের শতভাগ মানুষ (৩৫ হাজার) পানিবন্দী হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। ৮টি আশ্রয়কেন্দ্র খুলা হয়েছে। আমরা শুকনো খাবার দিচ্ছি।
কুলাউড়া পৌরসভার মেয়র অধ্যক্ষ সিপার উদ্দিন আহমদ জানান, তার পৌরসভার ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। তিনি খাবার সহায়তা দিচ্ছেন।
কুলাউড়া উপজেলা ত্রাণ ও পূর্ণবাসন অফিসার শিমুল আলী জানান, বন্যায় যাদের বাড়িঘরে পানি উঠেছে তাদের আশ্রয়কেন্দ্রে আনা হচ্ছে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে রয়েছে প্রশাসন।
তিনি জানান, দুর্গতদের মধ্যে সাড়ে ৪০০ প্যাকেট শুকনো খাবার দেয়া হয়েছে। আরো বরাদ্দ আসছে।
এদিকে বন্যার ক্ষয়ক্ষতি সরেজমিনে পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রীর প্রটোকল অফিসার-২ মোহাম্মদ আবু জাফর রাজু, স্থানীয় এমপি শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলুল হক খান সাহেদ।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা