বন্যায় কুলাউড়ায় ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দী
- ময়নুল হক পবন, কুলাউড়া (মৌলভীবাজার)
- ১৮ জুন ২০২৪, ২২:৪৫
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন ও কুলাউড়া পৌরসভার অধিকাংশ এলাকা গত ২ দিন থেকে বন্যায় প্লাবিত হয়ে ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। পৌরসভা এলাকায় ২টি আশ্রয় কেন্দ্র খুললেও আশ্রিতরা খাবার ও খাবার পানির সঙ্কটে পড়েছেন।
জানা গেছে, ঈদের দিন রাতে পৌর মেয়রের পক্ষ থেকে খাবার দেয়া হলেও মঙ্গলবার সারাদিন কোনো খাবার দেয়া হয়নি বানভাসীদের। বিশেষ করে হাকালুকি হাওর এলাকার ভুকশিমইল ইউনিয়নের ৩৫ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। এছাড়াও জয়চন্ডি ইউনিয়নের ১০টি গ্রাম, পৌর সভার ১২টি গ্রাম, সদর ইউনিয়নের ২টি গ্রাম, ব্রাহ্মণবাজারের ৫/৬টি গ্রামসহ ভাটেরা, বরমচাল ইউনিয়নের অধিকাংশ এলাকা বন্যায় প্লাবিত হয়ে পড়েছে।
আরো জাা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ১৮টি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এদিকে ভারী বর্ষণ ও ভারত থেকে আসা উজানের পানিতে সৃষ্ট বন্যার কারণে অনেকে কোরবানি দিতে পারেননি। ঘরবাড়ি রাস্তা ঘাট পানিতে প্লাবিত হওয়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। কুলাউড়া উপজেলার কমপক্ষে ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোছাদ্দিক আহমদ নোমান জানান, তার ইউনিয়নের ২টি ওয়ারডের ২০০ পরিবার পানিবন্দী।
ভুকশিমইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান মনির জানান, ভুকশিমইল ইউনিয়নের ৩৫ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। ৮টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে এবং মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত ৭০ জন আশ্রয় নিয়েছেন। আমরা শুকনো খাবার দিচ্ছি।
কুলাউড়া পৌরসভার মেয়র অধ্যক্ষ সিপার উদ্দিন আহমদ জানান, তার পৌরসভার ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। তিনি খাবার সহায়তা দিচ্ছেন।
কুলাউড়া উপজেলা ত্রাণ ও পূর্ণবাসন অফিসার শিমুল আলী জানান, বন্যায় যাদের বাড়িঘরে পানি উঠেছে তাদের আশ্রয় কেন্দ্রে আনা হচ্ছে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে রয়েছে প্রশাসন।
তিনি জানান, দুর্গতদের খাবারসহ বরাদ্দের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা