২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

দোয়ারাবাজারে পাহাড়ি ঢলে বাঁধ ভেঙে রাস্তাঘাট বিচ্ছিন্ন

-

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার সীমান্তে তিন দিনের টানা বর্ষণ আর পাহাড়ি ঢলে নদ-নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি ঢুকছে।

উপজেলার লক্ষীপুর ইউনিয়নের নোয়াপাড়া-লক্ষীপুরের মধ্যস্তলের বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বাঁধ ভাঙায় লক্ষীপুর, নোয়াপাড়া, রসরাই, সুলতানপুর, হাছনবাহার গ্রামের বাসিন্দাদের অনেকের বসতঘর নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। বসতঘর ভেঙে গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগি ও আসবাবপত্র পানিতে ভেসে যাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্তদের আহাজারিতে আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে আসছে। খাসিয়ামারা নদীর রাবারড্যামের পাশের বাংলাবাজার সড়কও প্লাবিত হয়েছে।

উপজেলার নরসিংপুর ইউনিয়নের চেলা নদীর নিকটবর্তী দৌলতপুর, মন্তাজনগর ও পানিতে তলিয়ে গেছে। চেলা নদীর ভাঙনে সারপিনপাড়া গ্রামের বেশকয়েকটি বসতঘর বিলিন হয়ে গেছে । উপজেলা সদরে ও বেশকয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

লক্ষীপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান প্রভাষক জহিরুল হক জানান, ‘গত তিন দিনের টানা বৃষ্টি আর শনিবার সকাল থেকে প্রবল বেগে পাহাড়ী ঢল নামা শুরু হয়। ১০টার দিকে ঢলের চাপে খাসিয়ামারা নদীর নোয়াপাড়া-লক্ষীপুরের মধ্যস্তলের বেড়িবাঁধ ভেঙে যায়। এ সময় পাহাড়ি ঢলে লক্ষীপুরের তাছির উদ্দিনের বসতঘর, মুখশেদ আলীর পোলট্রি ফার্ম ও আশরাফ আলীর দোকান পানিতে ভেসে যায়। এছাড়া এলাকার পাঁচটি গ্রামের ঘরবাড়ি পানিতে তলিয়ে গেছে। চলাচলের বেশকয়েকটি সড়ক ভেঙে পানি ডুকছে।’

সুনামগঞ্জের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার জানান, ‘গেল ২৪ ঘণ্টায় সুনামগঞ্জে ৭৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হলেও ভারতের চেরাপুঞ্জিতে ৫১৩ মিলি মিটার বৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে সীমান্তের ওপার থেকে নেমে আসা নদী গুলোতে পানি বেড়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement