বাঁধ ভেঙে বন্যা : কমলগঞ্জের ৪টি ইউনিয়নসহ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
- আব্দুল হামিদ, কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার)
- ২৯ মে ২০২৪, ১৭:৪২
ঘুর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে ঝড়ো বাতাস ও দু’দিনের টানা বর্ষণে উজানের পাহাড়ি ঢলে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার পৌরসভাসহ চারটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল ও কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
শাক-সবজিসহ কৃষির ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। ধলাই নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধের চৈতন্যগঞ্জ এলাকায় নদী ভাঙ্গন ও নদীর আরো ১০টি স্থান ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কমলগঞ্জ উপজেলার পৌরসভা এলাকার পানিসাইল, সদর ইউনিয়নের চৈতন্যগঞ্জ, নারায়নপুর, শমশেরনগরের রঘুনাথপুর, পতনঊষারের নোয়াগাঁও গ্রামসহ আদমপুর ও রহিমপুর ইউনিয়নের আরো কয়েকটি গ্রামসহ নিম্নাঞ্চল এলাকা প্লাবিত হয়েছে। আউশ ক্ষেত, শাক-সবজিসহ কৃষিক্ষেত তলিয়ে গেছে। এতে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।
মঙ্গলবার (২৮ মে) বিকেলে ধলাই নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধের চৈতন্যগঞ্জ এলাকায় নদী ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার পর্যন্ত ভানুগাছ রেলওয়ে সেতু এলাকায় ধলাই নদীর পানি বিপদসীমার ৩১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদীর পানি ও পাহাড়ি ঢলে নিম্নাঞ্চলে দ্রুত পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এদিকে ধরাই নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে পৌর এলাকায় ধলাই নদীর সংযুক্ত ড্রেন দিয়ে পানি প্রবেশ করে পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের পানিশালা এলাকার বসতবাড়ি, ডাকবাংলো, কমলগঞ্জ মডেল সরবারি উচ্চ বিদ্যালয়ে পানি প্রবেশ করছে। এছাড়া বিভিন্ন এলাকার নিম্নাঞ্চলের ফসলী জমি তলিয়ে গেছে।
পৌর এলাকার বাঁধবাসী সচেতন মহল, কয়েকজন বাঁধবাসী বলেন, ধলাই নদী থেকে ড্রেন দিয়ে পানি বেরিয়ে আমাদের দু’টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। আমরা এখন পানিবন্দী হয়ে আছি।
পানি উন্নয়ন বোর্ড মৌলভীবাজারের সহকারী প্রকৌশলী সাকিব আহমেদ ধলাই নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধের চৈতন্যগঞ্জ এলাকায় নদী ভাঙ্গনের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ধলাই নদীর পানি বিপদ সীমার ৩১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার জয়নাল আবেদীন বলেন, একটি স্থানে ভাঙ্গনের খবর পেয়েছি। তাছাড়া ধলাই নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধের ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলো সার্বক্ষণিক নজরদারি করা হচ্ছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা