২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

সর্বোচ্চ ৩৮ দশমকি ৫ ডিগ্রি তাপমাত্রায় পুড়ছে শ্রীমঙ্গল

শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) সংবাদদাতা - ছবি : নয়া দিগন্ত

চলতি গ্রীষ্ম মৌসুমে সর্বোচ্চ ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি তাপমাত্রায় পুড়ছে দেশের অন্যতম পর্যটন এলাকা ও চায়ের রাজধানী খ্যাত মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল।

শনিবার (২৫ মে) বিকেল ৩টার সময় এই তাপমাত্রা রেকর্ড করে স্থানীয় আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র।

বিষয়টি নয়া দিগন্তকে নিশ্চিত করে শ্রীমঙ্গলস্থ আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনিসুল রহমান বলেন, তাপমাত্রা আরো বাড়তে পারে।

তিনি বলেন, সাধারনত ৩টার পর এখানকার তাপমাত্রা বাড়ে, বিকেল ৬টায় মাপা হলে বুঝা যাবে আজকের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কত। তবে আসন্ন ঘুর্ণিঝড়ের ফলে যদি রাতে বৃষ্টিপাত হয় তাহলে কিছুটা তাপমাত্রা কমতে পারে। এখন পর্যন্ত ৩৮ দশমকি ৫ ডিগ্রি তাপমাত্রা এই মৌসুমে শ্রীমঙ্গলের জন্য সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বলে যোগ করেন তিনি।

আনিসুল রহমান আরো জানান, শুক্রবার শ্রীমঙ্গলে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৩৭ দশমকি ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তার আগের দিন (বৃহস্পতিবার) তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এদিকে সূর্যের তাপ বেড়ে যাওয়ায় তীব্র গরমে অতিষ্ট হয়ে জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। গত কয়েক দিন থেকেই এখানকার তাপমাত্রা ৩৫ থেকে ৩৭-৩৮ ডিগ্রির মধ্যে উঠা-নামা করায় শ্রমজীবী ও খেটে খাওয়া মানুষগুলো চরম বিপাকে পড়েছে। সূর্যের তাপমাত্র ৩৭-৩৮ ডিগ্রি থাকলেও গুগলে ফিল লাইকস দেখাচ্ছে ৫০ ডিগ্রি পর্যন্ত। ফলে বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। জরুরি কাজে যারা বাসা-বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন তারা দ্রুত কাজ সেরে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন।

এছাড়া কৃষিকাজে নিয়োজিত শ্রমিকদের দেখা গেছে অনেকেই ক্ষেতের মাঠ থেকে উঠে এসে গাছ তলায় আশ্রয় নিতে। বিশেষ করে চা শ্রমিকরা কিছু সময় পরপর’ই সেড ট্রি বা ছায় বৃক্ষের নিচে এসে তীব্র খরতাপ থেকে বাঁচার চেষ্টা করছেন।

অপরদিকে আজ সকাল থেকে’ই সূর্যের প্রখর খরতাপে ভোগান্তি পোহাতে দেখা গেছে শহরে আসা পথচারীদের। তবে প্রচন্ড রোদে শহরের রাস্তায় মানুষজনের উপস্থিতি ছিল অনেক কম। সাথে সড়কে যানবাহন চলাচলও অন্য দিনের তুলনায় ছিল কম। বিশেষ করে তিন চাকার বাহনগুলো।

অন্যদিকে বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে ঘরের বাহিরে না যাওয়া পরামর্শ দিয়েছেন স্থানীয় ডাক্তার শফিউল আলম স্বপন।

তিনি বলেন, বাচ্ছা এবং বয়স্কদের যতসম্ভব ঘরোয়া পরিবেশে যেন রাখা হয়। এছাড়া বাইর থেকে ঘরে ফিরে বা বাইরে ফ্রিজের ঠান্ডা পানি, জুস খাওয়া থেকে বিরত থাকা উত্তম। তবে বেশি বেশি করে নরমাল পানি পান করার পাশাপাশি সবাইকে যতটুকু সম্ভব বাহিরের খোলা পরিবেশের খাবার না খাওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।


আরো সংবাদ



premium cement