দোয়ারাবাজারে শিলাবৃষ্টির তাণ্ডবে টিন ছিদ্র হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত সহস্রাধিক বসতঘর
- দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ) সংবাদদাতা
- ০৫ মে ২০২৪, ২০:০০, আপডেট: ০৫ মে ২০২৪, ২০:০৮
শিলা বৃষ্টিতে সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার অর্ধশতাধিক গ্রামের সহস্রাধিক টিনের বাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও মসজিদ, দোকানকোটাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
রোববার (৫ মে) বিকেলের শিলাবৃষ্টিতে ঘরের টিনের চালা ছিদ্র হয়ে এ ক্ষয়ক্ষতি হয়।
গ্রামগুলোর মধ্যে উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের বাঁশতলা,চৌধুরী পাড়া,মৌলারপাড়, কলোনি, নতুন বাঁশতলা, ঝুমগাঁও, পেকপাড়া বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
কলোনি গ্রামের মাহমুদ আলী জানান, ব্যাপক শিলাবৃষ্টি পড়ে টিনের চালে অসংখ্য বড় বড় ছিদ্র হয়ে গেছে। ছিদ্র দিয়ে ঘর থেকো সাদা আকাশ দেখা যাচ্ছে। একেকটা শিলা (তিন থেকে চারশ গ্রাম ওজন) পাথরের মতো পড়তে থাকে। অনেকের ঘরের ভেতরের মালামাল নষ্ট হয়েছে।
বাঁশতলা গ্রামের কৃষক বীর মুক্তিযোদ্ধা ইলিয়াছ মিয়া (৮০) বলেন, আমার বয়সে কোনো দিন এত বড় শিলা দেখিনি। পাথরের আকারের মতো এক একটা শিলা খুব ভয়ঙ্কর ছিল।
হকনগর বাজারের ব্যবসায়ী আনোয়ার ভূঁইয়া বলেন, টিন দিয়ে তৈরি বাজারের প্রায় শতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান শিলা বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বৃষ্টির পানিতে মালামাল ভিজে ব্যবসায়ীদের আর্থিক ব্যপক ক্ষতি হয়েছে।
বাংলাবাজার ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম ভূঁইয়া ও ধন মিয়া বলেন, শিলা বৃষ্টিতে বাঁশতলা অঞ্চলের যেসব বসতঘর টিন দিয়ে তৈরি ছিল তার অধিকাংশ শিলা পড়ে ছিদ্র হয়ে গেছে। ঘরের ভেতর থেকে এখন আকাশ দেখা যাচ্ছে। ওইসব ঘর একেবারেই বসবাসের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে।
বাংলাবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ আবুল হোসাইন বলেন, আজকের শিলাবৃষ্টিতে বাঁশতলা অঞ্চলের প্রায় সহস্রাধিক টিনের তৈরি স্থাপনার চাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যা বসবাসের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। আকষ্মিক এ শিলাবৃষ্টিতে সবচেয়ে বেশি অসুবিধায় পড়েছে এখানকার নিন্ম আয়ের মানুষ।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা