প্রতিশ্রুতি ও প্রতীক্ষায় কেটে গেছে ৫৩ বছর
- সোহেল মিয়া, দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ)
- ০৮ এপ্রিল ২০২৪, ১০:১৩
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার সীমান্তবর্তী লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের লিয়াকতগঞ্জ-বাংলাবাজার খেয়াঘাটে খাসিয়ামারা নদীর ওপর একটি সেতু নির্মাণ আজো হয়ে ওঠেনি। এখানে স্থায়ী একটি সেতু না থাকায় প্রতিনিয়তই ঝুঁকি নিয়ে নদী পারাপার হতে হয় উপজেলার দুই ইউনিয়নবাসীর। এলাকাবাসীর দীর্ঘ দিনের দাবি থাকলেও স্বাধীনতার এই ৫৩ বছরেও তাদের সেই দাবি পূরণ হয়নি।
এতটা বছর ধরে একটি বাঁশের সাঁকো ও নৌকা দিয়েই খাসিয়ামারা নদী পারাপার হতে হচ্ছে দুই পাড়ের মানুষদের। এতে প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে। সময়মতো নৌকা না পেয়ে গভীর রাতে শোনা গেছে পারাপারের জন্য অপেক্ষায় থাকা অসহায় রোগীদের আর্তচিৎকার।
নিয়মিত যাতায়াতকারী অনেকেই জানান, নদীর দুই পাড়ের দুই ইউনিয়নের মানুষের মধ্যে নিবিড় বন্ধন থাকলেও খাসিয়ামারা নদী তাদের আত্মার বন্ধনকে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। নদী পারাপারের জন্য একমাত্র সেতুবন্ধ নৌকা ও বাঁশের সাঁকো। কিন্তু বর্ষাকালে এই নদী পারাপারে তাদের দুর্ভোগ যেন কয়েকগুণ বেড়ে যায়। উভয় পাড়ে রয়েছে কয়েকটি উচ্চবিদ্যালয়, প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাদরাসা, কিন্ডারগার্টেন ও সাপ্তাহিক হাটবাজার।
এলাকাবাসীর দাবি দু’টি ইউনিয়নের মোহনায় টেকসই একটি সেতু নির্মাণ করে দেয়া হোক। এতে নদীর দুই পাড়ের মানুষের সেতুবন্ধন আরো দৃঢ় হবে।
লিয়াকতগঞ্জ স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল কাদির বলেন, ‘শুকনো মৌসুমে বাঁশের সাঁকো দিয়ে শিক্ষার্থীরা যাতায়াত করতে পারলেও বর্ষায় শুরু হয় চরম দুর্ভোগ। ফলে বেশিভাগ শিক্ষার্থীই শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে যাওয়া আসা বন্ধ করে দেয়। অনেক শিক্ষার্থী নৌকা ও বাঁশের সরু সাঁকো দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়া করে। এতে অনেক শিক্ষার্থী প্রাণ হারিয়েছে এই নদীতে।’
উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশল অধিদফতরের প্রকৌশলী আব্দুল হামিদ বলেন, ‘সেতুটি নির্মাণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলে শিগগিরই সেতুটি নির্মাণের পদক্ষেপ নেয়া হবে।’
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা