২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

মৌলভীবাজার শহীদ মিনারে আওয়ামী লীগের সামনে পুলিশের ব্যারিকেড

- ছবি : ফাইল

মৌলভীবাজার শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দেয়ার সময় আওয়ামী লীগের সামনে ব্যারিকেড দেয় পুলিশের বহর। পুলিশের এমন আচরণে হতবাক নেতাকর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। ব্যারিকেড সরিয়ে নিতে পুলিশকে বারবার অনুরোধ করেন।

বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাত ১২টার দিকে জেলা সদরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এই ঘটনা ঘটে।

এ সময় জেলা প্রশাসক ড. উর্মি বিনতে সালাম উপস্থিত ছিলেন। তখন তিনি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মাইক হাতে নেন। সকলকে শান্তিপূর্ণভাবে শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে অনুরোধ করেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত ১২টা ১ মিনিটে প্রটোকল অনুযায়ী প্রথমে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার ভাষা আন্দোলনের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে শহীদ মিনারে যান। তখন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক এমপি নেছার আহমদ পুলিশকে ব্যারিকেড থেকে সরে যেতে বলেন। একপর্যায়ে তিনি ব্যারিকেড ভেঙে সামনে এগোনোর চেষ্টা করেন। তখন পুলিশ সদস্যরা তাকে আটকানোর চেষ্টা করলে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা পুলিশের দিকে তেড়ে এলে উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।


প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ‘রাত ১২টা ১ মিনিটে প্রটোকল অনুযায়ী প্রথমে রাষ্ট্রের নির্বাহী বিভাগের পক্ষে শহীদদের ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে যান জেলা প্রশাসক। এরপরই ফুল দিতে চান পুলিশ সুপার মনজুর রহমানের নেতৃত্বে জেলা পুলিশ। এ দিকে, আবার নব-নির্বাচিত এমপি জিল্লুর রহমানের পক্ষে তার প্রতিনিধি দল প্রথম দিকে ফুল দিতে চান। এ নিয়ে রাত পৌনে ১২টা থেকে শহীদ মিনার এলাকায় ভিতরে ভিতরে নীরব উত্তেজনা চলছিল।’

উল্লেখ্য, এমপি জিল্লুর রহমান দেশের বাহিরে শ্রীলঙ্কা অবস্থান করছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা আরো জানান, ‘১২টার কয়েক মিনিট আগে জেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ফুল দিতে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে যান। তারা নির্দিষ্ট লাইনে দাঁড়িয়ে থাকেন। এ সময় হঠাৎ করে তাদের সামনে পুলিশ ব্যারিকেড দেয়। তখন জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক এমপি নেছার আহমদ, সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মিছবাহুর রহমানসহ নেতাকর্মীরা পুলিশকে ব্যারিকেড সরিয়ে নিতে বারবার অনুরোধ করেন। একটা পর্যায়ে পুলিশের আচরণে তাদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। তখন তারা ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান দিতে থাকেন।’

এ ব্যাপারে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আমিন চৌধুরী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সাথে পুলিশ এমন আচরণ করতে পারে না। মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সংগঠন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সাথে মৌলভীবাজার পুলিশ আচরণ আমরা হতবাক।’

এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক এমপি নেছার আহমদ বলেন, ‘পুলিশ আমাদের সামনে এসে দাঁড়ালে নেতাকর্মীরা সরে যাওয়ার অনুরোধ করেন। পুলিশকে ব্যারিকেড সরিয়ে নিতে আমরা বারবার অনুরোধ করি। পরে একটু উত্তেজনা দেখা দেয়।’

পুলিশ সুপার মো: মনজুর বলেন, ‘আমরা ব্যারিকেড দেইনি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’


আরো সংবাদ



premium cement