২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

লাল শাপলার হাসির আড়ালে শীতের পরিযায়ীরা

- ছবি - নয়া দিগন্ত

সবুজ চা বাগানের টিলা পেরিয়ে দেখা মিলে পাহাড়ি স্বচ্ছ লেক। আর তাতে হাসছে অজস্র লাল শাপলা! এই সৌন্দর্যের মাত্রা বাড়িয়ে আড়ালে লুকিয়ে আছে শীতের পরিযায়ীরা।

এমন মনোরম দৃশ্যের দেখা মিলে মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর উপজেলার মাথিউরা চা বাগানের ২০নং রাবার ডেমে।

এ যেন চায়ের রাজ্যে শাপলার রাজত্ব। মাথিউরা চা বাগানে গিয়ে দেখা যায়, ২০ নম্বার ওই লেকে ফুটেছে চোখে লাগার মতো লাল শাপলা। সকাল সন্ধ্যায় রয়েছে পরিযায়ীদের আনাগোনা। পাহাড়ি লেকের নিরিবিলি পরিবেশে স্নিগ্ধতা বিলাচ্ছে প্রকৃতির এই অপূর্ব সৃষ্টি।

নজরকাড়া এমন দৃশ্য দেখামাত্র মুখ থেকে বেরিয়ে আসবে, বাহ কী সুন্দর! তখন মনের অজান্তেই গুনগুনিয়ে উঠবেন, ‘আহা, আজি এ বসন্তে এত ফুল ফুটে, এত বাঁশি বাজে, এত পাখি গায়...।’

সকাল-সন্ধ্যা পাখিদের কলরবে মুখরিত হয়ে উঠে এলাকা। অলস দুপুরে পরিযায়ীরা লাল শাপলার আড়ালে খুনসুটি আর জলডুবি খেলায় মত্ত থাকে।

এছাড়া লেকের পাড়ে দেখা যাবে, এক গাছের ডাল থেকে অন্য ডালে দুলছে বানর। এটি আশেপাশের পরিবেশকে আরো মনোমুগ্ধকর করে তুলেছে।

স্থানীয়রা জানান, এখানখার সৌন্দর্য সবাইকে মুগ্ধ করে। এই লেকের কারণে এই স্থানের সৌন্দর্য ফুটে উঠেছে। আমাদের আশেপাশের বাসিন্দরা অনেকেই এখানে ঘুরতে আসেন।

যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না থাকায় এখানে ভ্রমণ পিপাসুদের আনাগোনা তেমন নেই। পর্যটক আবু বকর বলেন, এমন অপরূপ সৌন্দর্যের মধ্যে লাল শাপলার রাজত্ব মনকে উৎফুল্ল করে তুলে।

মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে মৌলভীবাজার থেকে ঘুরতে আসা আবিদ হাসান বলেন, আমার দেখা অন্যতম একটি লেক। উঁচুনিচু চায়ের টিলা এবং লেকের মনকাড়া সৌন্দর্য আমাকে মুগ্ধ করেছে। লেকটিকে আরো সুন্দর ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন করলে পর্যটন জেলা মৌলভীবাজারে আরো একটি পর্যটক স্পট যোগ হবে।

মাথিউরা চা বাগানের বাসিন্দা প্রদীপ লাল রাজভর বলেন, পাহাড়ি উঁচুনিচু টিলাভূমিতে যাতায়াত সহজতর না থাকায় এখানে ভ্রমণপিপাসুরা কম আসেন।

চা-বাগানের ব্যবস্থাপক ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, এটি একটি চা কোম্পানির প্রাইভেট প্রোপার্টি। বিভিন্ন বিধিনিষেধের কারণে এটি পর্যটকদের জন্যে উন্মুক্ত করতে পারব না। মূলত চা বাগানের জন্য করা হয়েছে। ভ্রমণ পিপাসুরা আসলে আমরা বাধা দিতে পারি না।


আরো সংবাদ



premium cement