দোয়ারাবাজারে গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে আমের মুকুল
- দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ) সংবাদদাতা
- ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:৩৯
প্রকৃতিতে এখনো আসেনি ফাল্গুন, শীতও শেষ হয়নি। অথচ এরই মধ্যে দোয়ারাবাজার উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের আম বাগানে গাছে গাছে ফুটেছে মুকুল। চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে এই মুকুলের পাগল করা ঘ্রাণ। বাতাসে মিশে সৃষ্টি করছে ম-ম গন্ধ। আর এই মিষ্টি গন্ধ মানুষের মনকে বিমোহিত করে মাঘ মাসেই মধু মাসের আগমনী বার্তা শোনাচ্ছে। সেইসাথে পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন বাগানের মালিকরা। দেখছেন আমের বাম্পার ফলনের স্বপ্ন। তবে তীব্র শীতে ঘন কুয়াশায় ও হালকা বৃষ্টির দেখা মেলায় আতঙ্কে বাগানিরা।
একদিকে সীমান্তবর্তী এ অঞ্চলের প্রকৃতিতে এ বছর শীতের প্রকোপ বেশি থাকলেও আগেভাগেই মুকুলে মুকুলে ছেয়ে গেছে উপজেলার ছোট-বড় আম বাগানগুলো। তীব্র শীতের বাতাসে থোকা থোকা মুকুলের ভারে ঝুলে পড়েছে গাছের ডালপালা। সম্ভাবনা রয়েছে গত বছরের চেয়ে বেশি ফলনের।
অন্যদিকে, তীব্র শীতে ঘন কুয়াশায় আমের মুকুল ঝড়ে পড়ার শষ্কায় কৃষকরা।
স্থানীয় পারিবারিক আম বাগানি মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ জানান, ‘এবার শীতের রেশ কাটতে না কাটতেই গাছে গাছে ঝুলছে আমের মুকুল। তবে গত দিনের হালকা বৃষ্টির সাথে বাতাসে আমের মুকুলের অনেকটা ক্ষতি হয়েছে।’
সরেজমিন উপজেলার সুরমা, লক্ষীপুর, বগুলা, মান্নারগাঁও ইউনিয়নের বিভিন্ন ছোট, বড় ও মাঝারি আকারের আম বাগানগুলোতে দেখা গেছে, প্রায় বেশিরভাগ বাগানেই ডালে ডালে ঝুলছে আমের মুকুল। সড়কের দু’পাশে ও প্রায় বাড়ির আঙিনার আমগাছগুলোর সবুজ পাতা ঢেকে রয়েছে স্বর্ণালি মুকুলে। মুকুলগুলোয় এখন মৌমাছির গুঞ্জন। শীতের স্নিগ্ধতার মধ্যেই ফাগুলের মৃদু বাসন্তী হাওয়ায় দোল খাচ্ছে স্বর্ণালি মুকুল। আর এসব বাগান ও মুকুলের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। সেইসাথে মুকুল রক্ষায় ও ভালো ফলন ফলাতে বিভিন্ন ক্ষতিকর পোকা দমন, কীটনাশক স্প্রে ও নানা পদ্ধতির মাধ্যমে কাজ করছেন চাষিরা।
দোয়ারাবাজার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ মহসিন জানান, ‘এবার গরমের আগেই গাছে গাছে আমের মুকুল ঝুলছে। দোয়ারাবাজারে আমের বাণিজ্যিক কোনো বাগান নাই। যাই আছে ব্যক্তিগত। যদি কেউ বাণিজ্যিকভাবে আম চাষ করার আগ্রহী থাকে, তাকে উপজেলা কৃষি অফিস পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করবে।’
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা