দিরাইয়ে নির্বাচনী বিরোধের জেরে সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ১৫

সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে সংসদ নির্বাচনের জেরকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে শওকত আকবর (৬০) নামের একজন নিহত ও আহত হয়েছেন আরো ১৫ জন।

বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নে ধলুয়া গ্রামের নিহত শওকত (স্বতন্ত্র প্রার্থী সমর্থক) ও তৈয়বের (নৌকা সমর্থক) লোকজনের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তি হলেন রাজানগর ইউনিয়নে ধলুয়া গ্রামের শওকত আকবর। আর আহতরা হলেন ইলিয়াস মিয়া (২০), ফরহাদ (২২) সায়েক মিয়া (১৬), জয়মুন্নুর (৩৫), ফিরুজ আলী (৪০), মতিন মিয়া (৩০), সিদ্দিক আহমেদ (৭০), আলী হোসেন (৩৫), মিজানুর রহমান (২৪), আল আমীন (৩৩) ও ফয়েজ (৩০)।

আহতদের দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. পিন্টু কুমার দাস শওকত আকবরকে মৃত ঘোষণা করেন ও গুরুতর আহত তাজ মিয়াকে (৫০) সিলেট ওসমানী হাসপাতালে রেফার করেন। বাকি আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসারত আছেন।

স্থানীয় এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার দলুয়া গ্রামের তৈয়ব আলী সাথে নিহত শওকত আকবরের লোকজনের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। উভয়পক্ষের বিরুদ্ধে হত্যাসহ একাধিক মামলা মোকদ্দমা চলছে। বিগত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তৈয়ব আলীর লোকজন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আল আমিন চৌধুরী ও নিহত শওকত আকবরের লোকজন স্বতন্ত্র প্রার্থী ড. জয়া সেনগুপ্তার এমপির পক্ষ নেয়। নির্বাচনের পরদিন উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

নিহত শওকত আকবরের ছোট ভাই লিয়াকত হোসেন জানান, নির্বাচনে পরদিনের সংঘর্ষের ঘটনায় উভয় পক্ষই দিরাই থানায় অভিযোগ করেন। কিন্তু অদৃশ্য কারণে নৌকা সমর্থকদের মামলা রুজু হলেও আমাদেরটা নেয়া হয়নি। তাদের করা মামলায় আজ আমরা আদালতে হাজিরা দিতে গিয়েছিলাম। এই সুযোগে তৈয়ব আলী লোকজন নিয়ে আমাদের বাড়িতে হামলা করে ঘরে ঢুকে আমার ভাইকে হত্যা করে। সংঘর্ষে নিহতের খবর পেয়ে তৈয়ব আলীর লোকজন পলাতক থাকায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

দিরাই থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী জানান, দীর্ঘদিন ধরে গ্রামের দু’পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় আজ সকালে মারামারির ঘটনা ঘটে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।