কৃষকের ভাগ্য পরিবর্তন করতে চাই : কৃষিমন্ত্রী আব্দুস শহীদ

কৃষকের ভাগ্য পরিবর্তন করতে চাই বলে মন্তব্য করে কৃষিমন্ত্রী আব্দুস শহীদ বলেছেন, আপনারা আমাকে ভোট দিয়ে এমপি নির্বাচিত করেছেন, আর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে মন্ত্রী বানিয়ে আবার আপনাদের কাছে পাঠিয়েছেন। আপনারা আমাকে এ পর্যন্ত সাতবার এমপি বানিয়েছেন। কাজেই আপনাদের মর্যাদা সবচেয়ে বেশি।

বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলস্থ জেলা পরিষদ অডিটরিয়াম মাঠে শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এক গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মৌলভীবাজার-৪ আসনের সাতবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় কৃষিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা উপাধ্যক্ষ ড. মো: আব্দুস শহীদ এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, আমাদের জিডিপির ৮০ ভাগ কৃষি খ্যাত থেকে আসে। এই জিডিপির গ্রুথ বৃদ্ধি করতে হলে আমাদের কৃষি খ্যাতের উন্নয়ন করতে হবে। এখন আর কোনো উপকরণের অভাব নেই। মন্ত্রণালয়ের সকল কর্মকর্তাদের সাথে ইতোমধ্যে মিটিং করেছি। এখানে অনেক মেধাবী কর্মকর্তা আছেন। আমি বলেছি আপনাদের মেধাকে কৃষকদের উন্নয়নে কাজ করতে হবে। কৃষকরা তাদের পণ্য যাতে সফলভাবে বাজারজাত করতে পারে, কৃষকরা যাতে তাদের পণ্যের সঠিক মূল্য পায় সে ব্যাপারে কাজ করলে কৃষকদের ভাগ্যের উন্নয়ন হবে।

মন্ত্রী আরো বলেন, আমার মন্ত্রীত্ব পরিচালনায় এলাকার মানুষই হবেন সবচেয়ে বড় হাতিয়ার। আপনাদের পরামর্শ নিয়ে এই এলাকার উন্নয়ন করা হবে। আগামি পাঁচ বছরে এই এলাকার যে সকল কাজ বাকি আছে সবগুলো করে দিতে পারবো বলে আমার বিশ্বাস। তবে আমাকে যে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে এর বাহিরে ইচ্ছে থাকলেও অন্য কাজ করতে পারব না।

মন্ত্রী বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন কৃষকের ভাগ্যের পরিবর্তন ছাড়া দেশের ভাগ্য পরিবর্তন হবে না। তুমার কাজই হচ্ছে কৃষকদেরকে দেখা এবং উৎপাদন বৃদ্ধি করা।

তিনি আরো বলেন, আমরা জানি উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হলে ভাল বীজের প্রয়োজন। যে সমস্ত উপকরনের প্রয়োজন কোনো অবস্থাতেই এর কার্পন্য হবে না। যতটুকু প্রয়োজন তার চেয়ে বেশি দেবার চেষ্টা করব আমি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে আপনাদেরকে আশ্বস্থ করলাম।

এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বিষয়ে একটা সিন্ডিকেট কাজ করে এই সিন্ডিকেট ভাঙ্গার জন্য আমরা পদ্ধতি খুঁজতেছি, কোন পদ্ধতিতে ভাঙ্গা যায় সেটা নিয়ে কাজ করতেছি। আমি ইতোমধ্যে শ্রীমঙ্গলের ব্যাবসায়ীদের সাথে আলাপ করেছি। সবাইকে নিয়ে বসব, যাতে শ্রীমঙ্গলের দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি না পায়। সিন্ডিকেট ভাঙ্গতেই হবে, বিশেষ করে মজুদদারীদের।

মন্ত্রী বলেন, আমি যে কদিন মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করব অবশ্যই মানুষের কল্যাণে মানুষের উপকারের জন্য কাজ করব। প্রধানমন্ত্রী আমাকে উনার প্রতিনিধি হিসেবে পাঠিয়েছেন বাংলাদেশের কৃষকের দ্বারপ্রান্তে গিয়ে তাদের সুখ দুঃখের কথা জানতে এবং যারা মজুদধারী করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর হয়ে কৃষকের মুখে হাসি ফুটাতে।

শ্রীমঙ্গল উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আকরাম খাঁন ও এনাম হোসেন চৌধুরী মামুনের সঞ্চালনায় এবং অর্ধেন্দু কুমার দেব ভেবুলের সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন, মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিছবাহুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ সৈয়দ মনসুরুল হক, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রাধাপদ দেব সজল, মৌলভীবাজার পৌরসভার মেয়র ফজলুর রহমান, শ্রীমঙ্গল উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ইউছুব আলী, শ্রীমঙ্গল উপজেলা চেয়ারম্যান ভানুলাল রায়, শ্রীমঙ্গল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জগৎজ্যোতি ধর শুভ্র, সাংগঠনিক সম্পাদক ছালিক আহমেদ, কমলগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আজাদুর রহমান আজাদ, কমলগঞ্জ পৌরসভার মেয়র জুয়েল আহমেদ, উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক রফিকুর রহমান, আওয়ামী লীগ নেতা মোসাদ্দেক আলী মানিক, তোফাজ্জেল হোসেন ফয়েজ, তহিরুল ইসলাম মিলন, বেলায়েত হোসেন, বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যানসহ মৌলভীবাজার জেলা ও শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।