দোয়ারাবাজারে নির্বাচনী বিরোধে সংঘর্ষে আহত শতাধিক : ১৪৪ ধারা জারি আটক ৯
- দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ) সংবাদদাতা
- ১০ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:৫৬
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে নির্বাচনী বিরোধে দু’পক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে নারী পুরুষসহ শতাধিক আহত হয়েছে। সংঘর্ষ থামাতে ১০ রাউন্ড টিয়ারসেল ও ১০৪ রাউন্ড শর্ট গানের গুলি ছুড়েছে পুলিশ। এ সময় নয়জনকে আটক করা হয়েছে।
বুধবার (১০ জানুয়ারি) দুপুর ১২টায় দোয়ারাবাজার উপজেলা সদরের অবস্থিত পূর্ব মাছিমপুর ও নৈনগাঁও গ্রামবাসীর মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে ৩০ জনেরও বেশি গুলিবিদ্ধ রয়েছে। এদের বেশিরভাগই পুলিশের রাবার বুলেটে আহত হয়। পুলিশ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ফের সংঘর্ষের আশঙ্কায় ওই দুই গ্রামে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ সময় সংঘর্ষের ভিডিও ধারণ করতে গেলে দোয়ারাবাজার উপজেলা প্রেসক্লাবের ক্রীড়া সম্পাদক জাতীয় দৈনিক সংগ্রাম প্রতিদিনের দোয়ারবাজার প্রতিনিধি মাসুদ রানা সোহাগের ওপর দোয়ারাবাজার থানার পুলিশ কর্তৃক মারধরের শিকার হন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে দোয়ারাবাজার উপজেলা সদরের পাশের গ্রাম পূর্ব মাছিমপুর ও পশ্চিম মাছিমপুরবাসীর নৌকা ও ঈগল সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এই সংঘর্ষের জেরে গত দু’দিন থেকে উপজেলা সদরে দু’পক্ষের উত্তেজনা বিরাজ করছিল।
মঙ্গলবার রাতে পূর্ব মাছিমপুর গ্রামের আমরু মিয়ার ছেলে ঈগল মার্কার সমর্থক শামীম আহমদের সাথে পাশের নৈনগাঁও গ্রামের নৌকার সমর্থক আবুল মিয়ার কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে আবুল মিয়ার সমর্থকরা শামীম আহমদের পূর্ব মাছিম পুরের বাড়িতে ইট-পাটকেল ছোঁড়ে হামলায় ভাঙচুর চালায়।
পুলিশ রাতেই পরিস্থিতি শান্ত করে দু’পক্ষকে সরিয়ে দেয়। সকালে আবুল মিয়া দোয়ারা বাজারের বাসভবনে এলে শামীম আহমদের লোকজন হামলা করে। এই ঘটনার খবর নৈনগাঁও গ্রামে পৌঁছালে আবুল মিয়ার পক্ষের নৈনগাঁও গ্রামবাসী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে উপজেলা সদরে এসে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে উভয় পক্ষের শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে নারী ও রয়েছেন। আহত দের সিলেট নেয়া হয়েছে। অনেকেই প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
দোয়ারাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বদরুল হাসান জানান, দু’পক্ষের সংঘর্ষ থামতে পুলিশ ১০ রাউন্ড টিয়ারসেল, ১০৪ রাউন্ড শর্ট গানের গুলি ছুড়ে এবং সংঘর্ষে জড়িত নয়জনকে আটক করেছে।
দোয়ারাবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নেহের নিগার তনু জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে।
সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার ও পদোন্নতিপ্রাপ্ত অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ এহসান শাহ জানান, ঘটনার সাথে সাথে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা