স্ত্রীর অনুপ্রেরণায় শীতের পিঠা বিক্রি করে স্বাবলম্বী দোয়ারাবাজারের আনোয়ার
- দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ) সংবাদদাতা
- ১০ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:৪৭
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের বরইউড়ি গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে দিনমজুর আনোয়ার হোসেন (৪৫) পারিবারিকভাবে অসচ্ছল থাকায় এক স্ত্রী ও তিন সন্তানকে নিয়ে অভাব-অনটনে সংসার চালানো হয়ে পড়ে দায়।
পরিবারের সদস্যদের ভরণপোষণ, ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়া আর আর্থিকভাবে সচ্ছল হতে ২০১৪ সালের ডিসেম্বর মাসের শুরুতে উদ্যোগ নেন স্থানীয় বাজারে শীতের পিঠা বিক্রি করে স্বাবলম্বী হবেন। স্ত্রী রাশেদা খাতুনের ভরসা আর সহযোগিতায় শীতের পিঠা বিক্রি করতে যাবতীয় আসবাবপত্র ক্রয় করে শুরু করে পিঠা বিক্রি। প্রতিদিন বিকেলে স্ত্রী রাশেদা খাতুন চাউলের গুড়ি, শুটকি আর সরিষার ভর্তা তৈরি করে স্বামী তাকে (আনোয়ার হোসেন) পিঠা বানাতে সহযোগিতা করেন। স্ত্রীর সহযোগিতায় প্রতিদিন বিকেলে নিয়ম করে বাজারে শীতের পিঠা বিক্রি শুরু করেন আনোয়ার। শুরুতে বেশি একটা লাভবান না হতে পারলেও থেমে থাকেনি তার ইচ্ছা। প্রতিদিন নিয়ম করে পিঠা বিক্রির এক পর্যায়ে ধীরে ধীরে তা নেশাতে পরিণত হয় আনোয়ারের। পরের বছর থেকে শীতের মৌসুম আসার আগেই পিঠা বিক্রি করে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখে ও বেশ কয়েক হাজার টাকা আয় করে। এরপর থেকে আজ ৮ বছর ধরে শীতের পিঠা বিক্রি করে চলছে তার সংসার।
দীর্ঘ ৮ বছরে উপজেলার স্থানীয় বাংলাবাজার ইউনিয়ন অফিসের সামনে প্রতিদিন বিকেল থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত সরিষা আর শুটকি ভর্তা দিয়ে চিতই পিঠা বিক্রি করেন তিনি।
৫ টাকা করে প্রতি পিছ পিঠা বিক্রি করে দৈনিক ১২০০-১৫০০ টাকা আয় করতে সক্ষম হয়। পিঠা বিক্রির টাকা দিয়ে দুই ছেলে ও এক মেয়েকে লেখাপড়া করাচ্ছেন আনোয়ার হোসেন।
পিঠা বিক্রেতা আনোয়ার হোসেন জানান, ‘চালের গুঁড়া পানি দিয়ে বানানো হয় চিতই পিঠা। বছরের ৬ মাস তিনি পিঠা বিক্রি করেন। প্রতিদিন ২৫০০-৩০০০ টাকার পিঠা বিক্রি হয়। পিঠা বিক্রি করেই চলছে তার সংসার। পিঠা বিক্রির টাকা দিয়ে তার তিন ছেলে মেয়েকে স্কুলে পড়াচ্ছে। ভালোই কাটছে তার দিন। এখন আর সংসারে আগের মতো টানাপোড়েন নেই। জীবনের বাকি দিনগুলোও এভাবে কাটতে চান তিনি।’
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা