কেয়া চৌধুরীর ঈগলের বাজিমাত
- নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) সংবাদদাতা
- ০৭ জানুয়ারি ২০২৪, ২৩:১৩
হবিগঞ্জ-১ (নবীগঞ্জ-বাহুবল) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সংরক্ষিত সংসদ সদস্য আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী (ঈগল) প্রতীকে ৭৫ হাজার ৫২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী এম এ মুনিম চৌধুরী বাবু (লাঙ্গল) প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ৩০ হাজার ৭০৩।
মোট ৪৪ হাজার ৩৪৯ ভোটের ব্যবধানে সাবেক এমপি মুনিম চৌধুরী বাবুকে হারিয়ে বেসরকারীভাবে নির্বাচিত হয়ে চমক দেখিয়েছেন কেয়া চৌধুরী। ফলাফল ঘোষণার পরপর নবীগঞ্জ ও বাহুবল উপজেলার বিভিন্নস্থানে আনন্দ মিছিল করেছে কেয়া চৌধুরী সমর্থকেরা।
রোববার রাতে নবীগঞ্জ উপজেলার সহকারী রির্টানিং কর্মকর্তা অনুপম কুমার দাস ও বাহুবল উপজেলার সহকারী রির্টানিং কর্মকর্তা তাহমিলুর রহমান পৃথকভাবে আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন।
সূত্রে জানা যায়, সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত নবীগঞ্জ-বাহুবল উপজেলার ১৭৭টি ভোট কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। কোনো ধরণের বিশৃঙ্খলা ছাড়াই শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়। তবে সকাল থেকে ভোটার উপস্থিতি ছিল একেবারে কম।
নবীগঞ্জ উপজেলায় ১১৬টি ভোট কেন্দ্রে স্বতন্ত্র প্রার্থী আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী (ঈগল) প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ৪১ হাজার ৯৯ ভোট। জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী এম এ মুনিম চৌধুরী বাবু (লাঙ্গল) প্রতীকে প্রাপ্ত ভোট ২৩ হাজার ১৪০। এ ছাড়া ইসলামিক ঐক্যজোটের প্রার্থী মোস্তাক আহমেদ ফারকানী (মিনার) প্রতীকে প্রাপ্ত ভোট ২০৪ টি, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রার্থী নুরুল হক (গামছা) প্রতীকে প্রাপ্ত ভোট ১১৫ টি, নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানো গাজী মোহাম্মদ শাহেদ (ট্রাক) প্রতীকে প্রাপ্ত ভোট ২০১ টি।
এ উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৭৭ হাজার ৮০০ জন। এরমধ্যে প্রদত্ত ভোটের শতকরা হার ২৩ দশমিক ৫৭ শতাংশ।
অপরদিকে বাহুবল উপজেলার ৬১টি কেন্দ্রে স্বতন্ত্র প্রার্থী আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী (ঈগল) প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৯৫৩ ভোট। জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী এম এ মুনিম চৌধুরী বাবু (লাঙ্গল) প্রতীকে প্রাপ্ত ভোট ৭ হাজার ৫৬৩ টি। এছাড়া ইসলামিক ঐক্যজোটের প্রার্থী মোস্তাক আহমেদ ফারকানী (মিনার) প্রতীকে প্রাপ্ত ভোট ১১৩টি, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রার্থী নুরুল হক (গামছা) প্রতীকে প্রাপ্ত ভোট ৯৮টি, নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানো গাজী মোহাম্মদ শাহেদ (ট্রাক) প্রতীকে প্রাপ্ত ভোট ১১৮টি।
এ উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৫৩ হাজার ৬২২ জন। এরমধ্যে প্রদত্ত ভোটের শতকরা হার ২৭ দশমিক ৫৫ ভাগ।
উল্লেখ্য, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বর্তমান সংসদ সদস্য গাজী মোহাম্মদ শাহনওয়াজ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিত হন। মনোনয়ন দেয়া হয় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ডা: মুশফিক হুসেন চৌধুরীকে। এরপর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করেন ডা: মুশফিক হুসেন চৌধুরী। পরে আসন সমঝোতায় ২৫ আসনের মধ্যে হবিগঞ্জ-১ আসন জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেয় আওয়ামী লীগ। কপাল পুড়ে ডা: মুশফিকের। ফলে জাতীয় পার্টির মনোনয়ন ও আওয়ামী লীগ সমর্থন নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেন এম এ মুনিম চৌধুরী বাবু।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা