সুনামগঞ্জে টেংরাটিলায় গ্যাস বিস্ফোরণ : ক্ষতিপূরণ পাবে বাংলাদেশ
- দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ) সংবাদদাতা
- ২৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ১১:৫৫
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার টেংরাটিলা গ্যাস ফিল্ডে ২০০৫ সালের ৭ জানুয়ারি রাত ১০টায় প্রথম দফায় ব্লো আউট-বিস্ফোরণ হয়। আগুনের লেলীহান শিখায় টেংরাটিলাসহ আশপাশের কয়েকটি এলাকার আকাশ হয়ে যায় লাল রঙের। কেঁপে ওঠে সুনামগঞ্জ জেলার বেশ কিছু এলাকা।
প্রথম দফার গ্যাস নিয়ন্ত্রণের আগেই দ্বিতীয় দফা বিস্ফোরণ ঘটে ওই বছরের ২৪ জুন রাত ২টায়। ওই ঘটনায় আন্তর্জাতিক আদালতে মামলার রায় বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে গেলেও আপিলে আটকে থাকে এর চূড়ান্ত নিষ্পত্তি। ফলে নতুন করে গ্যাস ফিল্ড নিয়ে ভাবা হলেও উল্লেখযোগ্য কোনো অগ্রগতি করতে পারেনি বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স)।
আইনি লড়াইয়ের প্রায় ১৮ বছর পর আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ-বিরোধ নিষ্পত্তি আদালতে আরেকটি মামলায় জয়ের পথে বাংলাদেশ। কী কারণে ঘটল এমন ঘটনা, তদন্তে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য। দুর্নীতি ও ঘুষের মাধ্যমে নাইকো বাংলাদেশে কাজ পায় বলে চলতি বছরের ১১ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত শুনানিতে সাক্ষ্য দিয়েছেন ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) ও কানাডার রয়েল মাউন্ডেট পুলিশের দুই কর্মকর্তা। তারা বলেছেন, দুর্নীতির মাধ্যমেই চুক্তি করে নাইকো।
সম্প্রতি এ মামলার সমন্বয়কারী ব্যারিস্টার মঈন গণি জানিয়েছেন, বাংলাদেশে এসে যা ইচ্ছা তাই করা সম্ভব নয়, আইনি লড়াইয়ে বহুজাতিক কোম্পানিগুলোকে এ বার্তা দেয়া হয়েছে। ছয় মাস থেকে এক বছরের মধ্যে নাইকোর কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ পাওয়ার আশাও প্রকাশ করেন তিনি।
চলতি বছরের ১১ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে বিশ্বব্যাংকের একটি আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে (আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ বিরোধ নিষ্পত্তি আদালতের) শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন এ মামলার সমন্বয়কারী ব্যারিস্টার মঈন গণি।
ব্যারিস্টার মঈন গণি বলেন, ‘কোম্পানি দেশী হোক বা বিদেশী, দুর্নীতি করে যে পার পাওয়া যায় না আইনি লড়াইয়ে এমন বার্তা দেয়া হচ্ছে বা হয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘একটি বিদেশী কোম্পানি বাংলাদেশে এসে কাজ করতে গিয়ে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে চলে যাবে এটা হতে পারে না। তাদের ধরে তাদের থেকে আমরা ক্ষতিপূরণ দাবি করে আইনি লড়াইয়ে জিতে, ওই ক্ষতিপূরণ সফলভাবে নিয়ে আসতে পারব। বিদেশী বিনিয়োগকারীদের ক্ষেত্রে এখানে আসলে দুটি মেসেজ- তারা যদি অদক্ষভাবে এখানে এসে কাজ করে, তাহলে তারা পার পেয়ে যেতে পারবে না। আরেকটি মেসেজ, দুর্নীতি করে কেউ কাজ পেয়ে থাকে বা পায় ওই চুক্তি আসলে বৈধ না। এগুলো ক্রাইম হিসেবে গণ্য করা হবে। এখান থেকে আসলে তারা কোনো লাভ করতে পারবে না।’
তিনি আশা প্রকাশ করেন, ছয় মাস থেকে এক বছরের মধ্যে নাইকোর কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ বিষয়ে বাংলাদেশের পক্ষে রায় আসবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা