২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

নবীগঞ্জে বিএনপির সাথে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া

নবীগঞ্জে বিএনপির সাথে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া - ছবি : নয়া দিগন্ত

জ্বালানি তেল, পরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধি ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে ও বিএনপির দুই কর্মী নিহত হওয়ার ঘটনায় হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মী ও পুলিশের মাঝে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে নবীগঞ্জ শহরের গোল্ডেন প্লাজার সামনে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার বিকেলে পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি হিসেবে নবীগঞ্জ উপজেলা বিএনপি বিক্ষোভ সমাবেশের জন্য সাবেক এমপি শেখ সুজাত মিয়ার নেতৃত্বে শহরের গোল্ডেন প্লাজায় এবং উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক সরফরাজ চৌধুরীর নেতৃত্বে অন্য পক্ষ শুভেচ্ছা কমিউনিটি সেন্টারের সামনে অবস্থান নেয়।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক জিকে গউছসহ জেলা উপজেলার নেতৃবৃন্দ।

বিএনপির কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন ছিল। এক পর্যায়ে সাবেক এমপি শেখ সুজাত মিয়ার নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা গোল্ডেন প্লাজা থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করার চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় গোল্ডেন প্লাজার প্রধান ফটকে তালা দিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের অবরোদ্ধ করে রাখে পুলিশ।
পরে গোল্ডেন প্লাজার পেছনের ফটক দিয়ে বের হয়ে নেতাকর্মীরা মধ্যবাজারে অবস্থান নেয়। পুলিশ তাদের ধাওয়া করলে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে।

এ সময় পুলিশের সাথে বিএনপি নেতাকর্মীদের দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ঘটনা ঘটে। ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলাকালে শহরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ব্যবসায়ীরা দোকানপাট বন্ধ করে দেন এবং সাধারণ মানুষ দিগ্ববিদিগ্ব ছুটাছুটি করতে থাকে।

এদিকে শহরের শুভেচ্ছা কমিউনিটি সেন্টারের সামনে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক সরফরাজ চৌধুরীর নেতৃত্বে বিএনপির অপর পক্ষ বিক্ষোভ মিছিল বের করতে গেলে পুলিশ কঠোরভাবে বাধা দেয়। এতে বিক্ষোভ মিছিল করতে না পেরে সেখানেই বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

এ ব্যাপারে সাবেক এমপি শেখ সুজাত মিয়া অভিযোগ করে বলেন, আমাদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে বিনা উস্কানিতে পুলিশ নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে। এতে আমাদের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছে।

নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: ডালিম আহমেদ বলেন, পুলিশের সাথে বিএনপির কোনো সংঘর্ষ হয়নি। বিএনপির দু‘পক্ষের মধ্যে ইট-পাটকেল ছোড়াছুড়ি হয়েছে। পুলিশ আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সতর্ক অবস্থানে ছিল। আমাদের কেউ আহত হয়নি।

ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইট-পাটকেল ছুড়াছুড়ি বিষয়ে, বাজার ব্যবসায়ী ও স্থানীয়রা বলেন, বিএনপির দু‘পক্ষের মধ্যে কোনো ধরনের হাঙ্গামা আমাদের চোখে পড়েনি।


আরো সংবাদ



premium cement