আন্দোলনে সিলেট-হবিগঞ্জে চা-শ্রমিকরা অনড়, মৌলভীবাজারে অর্ধেক কাজে
- সিলেট ব্যুরো
- ২৩ আগস্ট ২০২২, ২০:৫২
দ্বিধা-বিভক্ত অবস্থায় চলছে সিলেট বিভাগে চা-শ্রমিকদের আন্দোলন। গত ১১ দিন ধরে দৈনিক ৩০০ টাকা মজুরির দাবিতে টানা কর্মবিরতি পালন করছেন চা শ্রমিকরা। এরই অংশ হিসেবে মঙ্গলবার সকাল থেকে সিলেট ও হবিগঞ্জে চা বাগানের সকল শ্রমিক কর্মবিরতি পালন করে। তবে মৌলভীবাজারে প্রশাসনের অনুরোধে শ্রমিকদের একটি অংশ কাজে যোগদান করেছে।
জানা যায়, গতকাল মঙ্গলবার সিলেটের কোনো চা বাগানে কাজে যোগ দেয়নি শ্রমিকরা। সোমবার যেসব বাগানের শ্রমিকদের একাংশ কাজ শুরু করলেও গতকাল তারাও ফের কর্মবিরতি শুরু করে। আন্দোলনের বিষয়ে দুপুর সোয়া ১২টা থেকে সিলেটের ২৩ বাগানের পঞ্চায়েত কমিটি বৈঠকে বসে। বৈঠকে চা শ্রমিকরা আন্দোলন চালিয়ে যাবে বলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। মঙ্গলবার সকাল থেকে লাক্কাতুড়া, মালনিছড়া ও তারাপুর বাগানের শ্রমিকরা ৩০০ টাকা মজুরির দাবি নিয়ে মিছিল করে লাক্কাতুড়া বাগান সংলগ্ন সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সামনের রাস্তায় জড়ো হয়। তারা রাস্তার পাশে বিভিন্ন ধরনের প্লেকার্ড নিয়ে বসে মজুরি বৃদ্ধির দাবি জানায়। সিলেটের অন্য বাগানের শ্রমিকরাও কাজে যোগদান থেকে বিরত থাকে। সোমবার লাক্কাতুড়াসহ যেসব বাগানের শ্রমিকদের একাংশ কাজে যোগ দিয়েছিল তারা মঙ্গলবার সকাল থেকে কর্মবিরতি পালন করে। বাগানে গিয়ে তারা চা পাতা চয়ন না করে বসে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে। এক পর্যায়ে দুপুর সোয়া ১২টার দিকে সিলেটের ২৩টি বাগানের পঞ্চায়েত কমিটির নেতারা লাক্কাতুড়ায় বৈঠকে বসে। বৈঠকে সব শ্রমিক একযোগে জানায়, তারা কাজে যোগ দেবে না। এ সময় তাদের সাথে একাত্মতা পোষণ করেন চা-শ্রমিক ইউনিয়নের সিলেট ভ্যালির সভাপতি রাজু গোয়ালা।
আন্দোলনরতদের মধ্য থেকে রিতেশ মোদি নামের এক চা-শ্রমিক বলেন, আমরা ৩০০ টাকা মজুরির দাবিতেই আন্দোলনে নেমেছিলাম। এখন কিছু সংখ্যক শ্রমিক পিছুটান দিলেও আমরা বেশিরভাগ শ্রমিক দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে। তাই আজকের ব্ঠৈকে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এ বিষয়ে রাজু গোয়ালা বলেন, সকল চা-শ্রমিক যেহেতু একটাই সিদ্ধান্ত নিয়েছে- ৩০০ টাকা মজুরি ছাড়া তারা কাজে যোগ দেবে না, সেহেতু আমিও তাদের সাথে একমত।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা