০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ অগ্রহায়ন ১৪৩১,
`

শাল্লার ঘটনায় প্রশাসন দায় এড়াতে পারে না : ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী

শাল্লার ঘটনায় প্রশাসন দায় এড়াতে পারে না : ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী - ছবি : নয়া দিগন্ত

সুনামগঞ্জের শাল্লায় হিন্দু পল্লীর বাড়ি-ঘর ভাংচুর ও হামলার ঘটনায় প্রশাসন দায় এড়াতে পারে না। সনাতন ধর্মের লোকজনের ওপর হামলার ঘটনায় সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা প্রশাসনের। এমন মন্তব্য করেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা: জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

তিনি বলেন, প্রশাসন যদি আগের দিন সঠিক ব্যবস্থা নিত, তাহলে এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটত না। তাই এ ঘটনার দায় প্রশাসন এড়াতে পারে না।

মঙ্গলবার শাল্লার নোয়াগাঁও গ্রামের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের ঘর বাড়ি পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন তিনি।

এ সময় সাত দিনের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট পেশ করে জড়িতদের শাস্তির আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, জড়িত যেই দলের হোক না কেন তাকে যেন অপরাধীর চোখে দেখা হয়। আইনের আওতায় নিয়ে এসে বিচার নিশ্চিত করা হয়। এ সময় তার সাথে ছিলেন নাগরিক আন্দোলনের আহ্বায়ক জুনায়েদ সাকী, সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এ ইউ শাহীন।

উল্লেখ্য, গত (১৫ মার্চ) সোমবার হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নেতা যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলা সদরে শানে রেসালাত সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন। মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) রাতে শাল্লা উপজেলার হবিবপুর ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামের গোপেন্দ্র দাসের ছেলে ঝুমন দাস আপনের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে মামুনুল হককে নিয়ে দেয়া একটি আপত্তিকর পোস্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। এ নিয়ে ঝুমন দাসকে আটকের জন্য প্রতিবাদ মিছিল করলে ঝুমন দাসকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন এলাকাবাসী।

এর পরের দিন বুধবার (১৭ মার্চ) সকালে নোয়াগাঁও গ্রামে হিন্দু লোকজনের বাড়িতে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় ৩০ থেকে ৩৫টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ ঘটনায় ৩০ ঘণ্টা পর বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) শাল্লা থানায় পুলিশ একটি ও গ্রামের বাসিন্দা হবিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিবেকানন্দ বকুল আরো একটি মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় প্রধান আসামিসহ মোট ৩৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement