স্ত্রীকে আটকিয়ে রাখায় শাশুড়িকে খুন, মেয়ে জামাই গ্রেফতার
- শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) সংবাদদাতা
- ০৭ জুন ২০২০, ২০:৫৮, আপডেট: ০৭ জুন ২০২০, ১৯:৪৬
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে মা ও মেয়েকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনার প্রধান আসামি মেয়ের জামাই মো: আজগর আলীকে (৩০) গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। গ্রেফতারের পর রোববার তাকে মৌলভীবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির করা হয়েছে। আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দির পর আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: আব্দুছ ছালেক বলেন, আজগর আলী এ জোড়া খুন মামলার প্রধান আসামি ছিলেন।
তিনি জানান, শনিবার রাতে এ হত্যা মামলার প্রধান আসামি আজগরকে উপজেলার সিন্দুরখান ইউনিয়নের তালতলা থেকে গ্রেফতার করা হয়। রোববার তাকে আদালতে হাজির করলে তিনি ১৬৪ ধারায় খুনের বর্ণনা দিয়ে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
খুনের বর্ণনায় তিনি আরো বলেন, আটকের পর ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে আজগর খুনের দায় পুলিশের কাছে স্বীকার করে জানান, দেড় বছর ধরে তার স্ত্রীকে আটকে রেখেছে শাশুড়ি। এই জেরে বৃহস্পতিবার রাতে ঘরের পেছনের বেড়া ভেঙ্গে ঘরের ভেতরে প্রবেশ করেন। ঘুমন্ত অবস্থায় জেআই পাইপ দিয়ে তিনি প্রথমে তার শাশুড়ি জায়েদা বেগমকে (৫৫) বুকে ও পেটে আঘাত করে খুন করেন। মায়ের চিৎকার শুনে মেয়ে ও তার স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তার (২৫) ঘুম ভেঙে মাকে খুন করতে দেখে ফেলেন। এ সময় ইয়াসমিন আজগরকে বাধা দিয়ে মাকে বাঁচাতে চেষ্টা করেন। খুনের ঘটনার সাক্ষী না রাখতে স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তারকেও নির্মমভাবে খুন করেন আজগর আলী। জোড়া খুন করে ঘরের ভাঙ্গা অংশ দিয়ে পালিয়ে গিয়ে রাতের মধ্যেই পাশের সিন্দুরখান ইউনিয়নের বেলতলী গ্রামে তার বাড়িতে ঘুমিয়ে পড়েন। সকালে ঘটনা জানাজানি হলে তিনি ওই বাড়ি থেকে পালিয়ে যান।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার শ্রীমঙ্গল উপজেলার সিন্দুরখান ইউনিয়নের জামসী এলাকায় একই ঘর থেকে জায়েদা বেগম (৫৫) ও তার মেয়ে ইয়াসমিন আক্তারের (২৫) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার পর জায়েদা বেগমের মেয়ে জেসমিন আক্তার (২২) শ্রীমঙ্গল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা