মুক্তির বাঁধ মুক্ত হচ্ছে না, দুর্ভোগে হাজার হাজার নৌযান চালক
- তাহিরপুর (সুনামগঞ্জ) সংবাদদাতা
- ৩০ মে ২০২০, ১৫:৪৪, আপডেট: ৩০ মে ২০২০, ১৫:৪৮
বর্ষায় চারদিকে পানিতে ভরপুর হলেও তাহিরপুর উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের হাজার নৌযান চালকরা উপজেলা সদরে প্রবেশ করতে পারছে না ১২ ফুট প্রস্থ মুক্তির খাল বন্ধ থাকার কারণে। ফলে তিনটি ইউনিয়নের হাজার হাজার নৌযানের চালক, মালিকরা ও জনসাধারণ দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।
মুক্তির খালটি উপজেলার একটি জনগুরুত্বপূর্ণ আর মুক্তি যোদ্ধের স্মৃতি। এ খালটি উপজেলার মাছ বাজারের উত্তর দিকে অবস্থিত।
জানা যায়, প্রতি বছর উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়ন, বাদাঘাট ইউনিয়ন ও দক্ষিণ বড়দল ইউনিয়ন মাটিয়ান হাওরসহ বিভিন্ন হাওরের এক ফসলি বোরো ধান পাহাড়ী ঢল থেকে রক্ষার জন্য বাঁধ দেয়া হয়। আর পাহাড়ি ঢলের পানি হাওরে প্রবেশপর পর এই বাঁধ খুলে দেয়া হয়। কিন্তু এবার এ বাঁধটি খুলে না দেয়ার কারণে তিনটি ইউনিয়নের সব ব্যবসায়ীরা ও উপজেলা সদরের ব্যবসায়ীরা ক্ষতির শিকার হচ্ছেন ও উপজেলা সদরে আসতে গিয়ে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন মানুষ।
এছাড়াও জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানার স্পিডবোট এই খাল দিয়ে চলাচল করে। আর মাটিয়ান হাওরে ঝড় উঠলে সব নৌকা মুক্তির খাল দিয়ে প্রবেশ করে তাহিরপুর বাজার গিয়ে আশ্রয় নেয়।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, ১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধারা এই খাল দিয়ে উত্তর শ্রীপুর, দক্ষিণ বড়দল ও বাদাঘাট ইউনিয়নসহ বিভিন্ন স্থানে নৌকা দিয়ে চলাচল করেছে। এছাড়াও এ খালটি ব্যবসায়ী ও নৌযান চালক এবং সর্বস্তরের মানুষের চলাচলের সহজ মাধ্যম। এই বাঁধটি খুলে না দিলে সবার দুর্ভোগের শেষ থাকবে না।
এ বিষয়ে তাহিরপুর উপজেলার সদরের বাজার বনিক সমিতির সভাপতি আবিকুল মিয়া জানান, আমরা মুক্তির খলা বাঁধ খুলে না দেয়ার কারণে উত্তর দিকে তিনটি ইউনিয়ন হাজার হাজার নৌকা চালকরা যাত্রী নিয়ে বাজারে প্রবেশ করতে না পারায় কোনো ব্যবসায়ী ও মানুষজন বাজারে আসছে না। ফলে আমরা ক্ষতির শিকার হচ্ছেন। বাঁধটি খুলে দিলে সবার উপকার হত।
নৌযান চালক আশরাফুল মিয়া জানান, প্রতি বছরেই হাওরে পানি প্রবেশ করার সাথে সাথেই এই বাঁধটি খুলে দেয়া হয়। ফলে বাজারে সহজে প্রবেশ করা যার। এতে করে আমরা যাত্রী ও মালামাল পরিবহন করে লাভবান হতাম আর যাত্রীরাও স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করত। এখন বাজারে আসতে হলে দীর্ঘ পথ ঘুরে বাজারে আসতে হচ্ছে। এতে করে আমরাও ক্ষতির শিকার হচ্ছি।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিজেন ব্যনার্জি বলেন, এই খাল নিয়ে দুটি পক্ষ থাকায় একটু সমস্যা আছে। তাই এই বিষয়ে সব কিছু বিবেচনা করে সবার সাথে বসে আলোচনা মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা