ফ্যাসিবাদী শাসন দীর্ঘায়িত করতেই পিলখানা হত্যাকাণ্ড : ফখরুল ইসলাম

‘পতিত ফ্যাসিস্ট সরকার তাদের ফ্যাসিবাদী শাসনকে দীর্ঘায়িত করতেই পিলখানা ট্র্যাজেডি সংগঠিত করা হয়েছিল’ মন্তব্য করে জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও সিলেট মহানগরী আমির মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম বলেছেন, ‘দেশকে মেধা ও নেতৃত্বশূন্য করতেই পরিকল্পিতভাবে ও নৃশংস পন্থায় জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হত্যা করা হয়।’

মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে সিলেট মহানগর জামায়াতের উদ্যোগে জাতীয় শহীদ সেনা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় নৃশংস হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে সেনাবাহিনীর ৫৭জন চৌকস অফিসারকে হত্যা করার মূলে ছিল রাষ্ট্র ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করা। এর মাধ্যমে দেশের গণতন্ত্রকে হত্যার নীলনকশা বাস্তবায়ন করা হয়। ফলে টানা ১৫বছর ফ্যাসিস্ট শক্তি অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকতে পেরেছিল।’

তিনি বলেন, ‘গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট শক্তির পতন হয়েছে। পিলখানা হত্যাকাণ্ডের দীর্ঘ ১৫ বছর পর এই ঘটনা তদন্তে কমিশন গঠিত হয়েছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে তদন্ত শেষ করে পিলখানা ট্র্যাজেডির মূল রহস্য জাতির কাছে উন্মোচিত করতে হবে। পিলখানায় শাহাদাতবরণকারী শহীদ সেনাদের স্বপ্নের বাংলাদেশ গঠনে দেশপ্রেমিক জনতাকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’

মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি মোহাম্মদ শাহজাহান আলীর পরিচালনায় সভায় বক্তব্য দেন মহানগর জামায়াতের নায়েবে আমির ড. নূরুল ইসলাম বাবুল, সহকারী সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আব্দুর রব ও জাহেদুর রহমান চৌধুরী, জামায়াত নেতা মাওলানা আব্দুল মুকিত, মুফতী আলী হায়দার ও মুহাম্মদ আজিজুল ইসলাম প্রমূখ।