৩১ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭ মাঘ ১৪৩১, ১৮ রজব ১৪৪৫
`

তামাবিল স্থলবন্দরে দুদকের অভিযান : মাসে ৩ কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি

তামাবিল স্থলবন্দর - ছবি : নয়া দিগন্ত

সিলেটের তামাবিল স্থলবন্দরে অভিযান চালিয়েছে দুদক। অভিযানে স্থলবন্দরে বিভিন্ন অসঙ্গতির সত্যতা মিলেছে। দুদক বলছে, তামাবিল স্থলবন্দরে প্রতি মাসে তিন কোটি টাকারও বেশি রাজস্ব বেশি ফাঁকি দেয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দুদক সিলেট কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জুয়েল মজুমদার ও তামাবিল স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান অভিযানের নেতৃত্ব দেন।

এ সময় দুদকের চার সদস্যের একটি দল অভিযান পরিচালনা করেন।

তামাবিল স্থলবন্দরে লোড আনলোডের তথ্য যাচাই করতে গিয়ে দেখা যায়, পাঁচ টনের ট্রাকে আসছে ১০ থেকে ১২টন পণ্য। প্রতি ট্রাক পাঁচ থেকে ছয় টন পণ্য বেশি আসছে। এ স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিদিন ৪০০ থেকে ৫০০ ট্রাক আসছে। ওই হিসেবে দিনে ১৫ লাখ টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। আর মাসে হারাচ্ছে তিন কোটি ৩২ লাখ টাকা। পাশাপাশি হুসনে আরা এন্টারপ্রাইজ নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান লোড-আনলোডের কোনো কাজ না করেই গত অর্থ বছরে (২৩-২৪) প্রায় দশ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার সত্যতাও পায় অভিযানিক দলটি। এসব বিষয়ে অধিকতর তদন্ত শেষে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানায় দুদক।

বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে আমদানিকারকদের কাছ থেকে অভিযোগ পায়নি তারা। পাশাপাশি পণ্য পরিবহণে অতিরিক্ত ওজন থাকলে কাস্টমস নিয়মিত মামলা দায়ের করছে বলে দাবি তাদের।

তামাবিল স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান দৈনিক নয়া দিগন্তকে বলেন, ‘দু’মাস হয় আমি এখানে যোগদান করেছি। অনিয়মের কারণে কাস্টমসের পক্ষ থেকে নিয়মিত মামলা করা হচ্ছে। দুদক টিম বিগত দিনের বেশকিছু লেনদেনের তথ্য যাচাইবাছাই করে অসঙ্গতি পেয়েছেন।’


আরো সংবাদ



premium cement