গোলাপগঞ্জে ছাত্র আন্দোলনে শহীদ সানির লাশ ৫ মাস পর উত্তোলন

সিলেটের গোলাপগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত সানি আহমদের লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়া দাফন করায় দীর্ঘ প্রায় পাঁচ মাস পর আদালতের নির্দেশে শিলঘাট মোকাম টিলা কবরস্থান থেকে লাশ উত্তোলন করা হয়েছে।

আজ বুধবার দুপুরে গোলাপগঞ্জ উপজেলার সহকারী কমিশনার ও অ্যাক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ফয়সাল মাহমুদ ফুয়াদের উপস্থিতিতে তার লাশ উত্তোলন করা হয়।

সানি আহমদ উপজেলার শিলঘাট কুমারপাড়া গ্রামের কয়ছর আহমদের ছেলে।

উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পুলিশ-বিজিবি ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হামলা ও গুলিতে গোলাপগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালের পাশে গোলাপগঞ্জ ঢাকাদক্ষিণ সড়কে সানি নিহত হন। স্থানীয়রা গোলাপগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ওই দিন রাতে সানিকে নিজ এলাকা শিলঘাট মোকাম টিলা কবরস্থানে দাফন করা হয়।

জানা গেছে, গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর এ ঘটনায় সানির বাবা কয়ছর আহমদ সিলেটের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত-২, ৫১ জন ও অজ্ঞাতনামা আরো ৪০ জনকে আসামি করে মামলা করেন। আদালত মামলাটি এফআইআর হিসেবে গণ্য করে প্রয়োজনীয় প্রদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য গোলাপগঞ্জ মডেল থানা পুলিশকে নির্দেশ দেন। পরবর্তীতে সানির মামলাসহ বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে চার নিহতের মামলা আদালতের নির্দেশে সিআইডিতে স্থানান্তর করা হয়।

এদিকে, সানির লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়া দাফন করায় মামলার সুষ্ঠুভাবে তদন্তে আদালতের নির্দেশে প্রায় পাঁচ মাস পর তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য উত্তোলন করে সিলেট এমএজি ওসমানি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গুলিতে সানি আহমদ নিহতের ঘটনায় গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় একটি মামলা করা হয়। ওই মামলার কয়েক দিন পর আবার একই ঘটনায় সানির বাবা আদালতে আরো একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এ ব্যপারে উপজেলার সহকারী কমিশনার ও অ্যাক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ফয়সাল মাহমুদ ফুয়াদ জানান, নিহত সানি আহমদের লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়া দাফন করায় আদালতের নির্দেশে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ উত্তোলন করা হয়েছে।