সুনামগঞ্জের পৌর মেয়র নাদের বখ্তসহ ৫ জনের রিমান্ড মঞ্জুর
- সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
- ০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ২০:২১
সুনামগঞ্জের জুলাই-আগস্টে শিক্ষার্থীদের উপর হামলার মামলায় সাবেক পৌর মেয়র নাদের বখ্তসহ পাঁচজনের দু’দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সাবেক পৌর মেয়রসহ স্বেচ্ছাসেবক লীগের পাঁচ নেতার দু’দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।
এদিকে একই মামলায় সোমবার বিকেলে গ্রেপ্তার হওয়া শাল্লা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট অবনী মোহন দাসকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ। দ্রুত বিচার আদালতের বিচারক নির্জন কুমার মিত্র বুধবার রিমান্ড শুনানীর দিন ধার্য্য করেন।
মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে সুনামগঞ্জের দ্রুত বিচার আদালতে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন শুনানীর সময় সুনামগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র নাদের বখ্ত ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সুয়েব আহমদ, সাধারণ সম্পাদক জুবের আহমদ অপু, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সাহারুল, মসিবুর রহমানের দু’দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন দ্রুত বিচার আইনের বিচারক নির্জন কুমার মিত্র। একই আদালতে সোমবার বিকেলে শাল্লা উপজেলা সদর থেকে গ্রেফতার হওয়া সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অবনী মোহন দাসকে হাজির করে দশ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ।
অন্যদিকে অবনী মোহন দাসের আইনজীবীরা তার জামিন চান। দ্রুত বিচার আইনের বিচারক নির্জন কুমার মিত্র আগামীকাল বুধবার রিমান্ড এবং জামিন শুনানীর দিন ধার্য্য করে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে গেলো ২৯ ডিসেম্বর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র নাদের বখত, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সাধারণ সম্পাদকসহ পাঁচজন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠান।
কোর্ট ইন্সপেক্টর আকবর আলী আদালতের এই আদেশের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। আসামিদের আইনজীবী জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম ও সাবেক পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) খায়রুল কবির রুমেনও একই তথ্য জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত ৪ আগস্ট সুনামগঞ্জ শহরের পুরাতন বাসস্টেশনে ছাত্র-জনতার মিছিলে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের হামলার ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন দোয়ারাবাজার উপজেলার এরোয়াখাই গ্রামের জহুর আলী। জহুর আলীর ভাই হাফিজ আহমদ এই ঘটনায় গত ২ সেপ্টেম্বর ৯৯ জনের নাম উল্লেখসহ ২০০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় সাবেক পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান, সাবেক এমপি জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মুহিবুর রহমান মানিকসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের অনেক নেতা-কর্মী গ্রেফতার হয়েছেন। এম এ মান্নান ও মুহিবুর রহমান মানিকসহ বেশ কয়েকজন নেতা জামিনে রয়েছেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা