০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ২৩ পৌষ ১৪৩১, ৬ রজব ১৪৪৬
`

রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছুঁতে ব্যর্থ শেওলা স্থলবন্দর

- ছবি : ইউএনবি

সরকারের অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আদায়ে চলতি ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই-ডিসেম্বর) লক্ষ্যমাত্রার ধারে কাছেও পৌঁছাতে পারেনি বিয়ানীবাজারের শেওলা স্থলবন্দরের কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।

এ সময়ে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ৩০ কোটি ৮৬ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হলেও তারা পিছিয়ে আছে ১০ কোটি টাকা।

সর্বশেষ ২০২৪ পঞ্জিকাবর্ষের শেষ দিন লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেক রাজস্বও আহরণ করতে পারেনি শেওলা কাস্টমস।

শেওলা কাস্টমস কর্মকর্তারা বলছেন, চলতি অর্থ বছরের শুরুতে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে বেশ কয়েকদিন পণ্য শুল্কায়ন থেকে খালাস প্রক্রিয়া পুরোদমে ব্যাহত হয়। এর প্রভাব পড়েছে রাজস্ব আদায়ে।

তাদের দাবি, শেওলা কাস্টমসের অডিট ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চ (এআইআর) শাখার তৎপরতা বাড়ানোর কারণে মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানি কমেছে। আবার খালাসেও রাজস্ব ফাঁকি দেয়ার সুযোগ নিতে পারেনি সুযোগসন্ধানীরা।

তবে শ্রমিকদের দাবি উল্টা। তাদের দাবি, পণ্যের ওজন কারচুপির কারণে সৃষ্ট অনিয়মের কারণেই এ বন্দর দিয়ে আমদানি-রপতানি কমেছে।

কাস্টমস কর্মকর্তাদের দূর্নীতির অভিযোগে সম্প্রতি এ বন্দরে ব্যাপক শ্রমিক অসন্তোষের সৃষ্টি হয়।

এ বিষয়ে শ্রমিকরা জানান, ওজন কারচুপির মতো দূর্নীতি এ বন্দরের একটি বড় সমস্যা। ভারত থেকে যে পাথর আমদানি করা হয়, তা সরাসরি মাইন থেকে গাড়িতে বোঝাই হয়ে চলে আসে। ফলে এসব পাথরের সাথে মাটি ও বালি মিশে থাকে। এর আগে, তামাবিল ও শেওলায় পাথর শুল্কায়নের আগে বন্দর কর্তৃপক্ষ মাটি ও বালির ওজন বাদ দিয়ে পাথরের ওজন নির্ণয় করত এবং সে অনুযায়ী শুল্কায়ন করা হতো। বর্তমানে শেওলার নতুন কর্মকর্তারা মাটি ও বালির ওজন ছাড় দিতে চাচ্ছেন না।

সূত্রে জানা গেছে, এ বন্দর দিয়ে গত ছয় মাসে ১১ কোটি টাকার কয়লা, আদা, কমলা, আপেল, সাতকড়া, চুনাপাথর ও চাল আমদানি হয়েছে। নতুন বছরের প্রথম মাস হওয়ায় আগের মাসের বকেয়া রাজস্ব আদায় হওয়ার কারণে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি আদায় দেখা গেছে, যা প্রকৃত চিত্র নয়। প্রকৃত চিত্র পাওয়া যায় আগস্ট মাস থেকে।

কয়লা আমদানিকারক ইকবাল হোসেন জানান, বাজারে ডলারের দাম বাড়ার কারণে অনেক ব্যবসায়ী আমদানির এলসি (ঋণপত্র) খুলতে পারেননি। যারা এলসি খুলেছেন তাদের অনেককে খোলা মার্কেট থেকে বেশি দামে ডলার কিনে ব্যাংকে বেশিভাগ মার্জিন দেখিয়ে ঋণপত্র খুলতে হয়েছে। ফলে সামগ্রিক নেতিবাচক একটি প্রভাব পড়েছে আমদানিতে।

এ বিষয়ে শেওলা কাস্টমসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা শিমুল সেন বলেন, ধারাবাহিকভাবে প্রতি বছর রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা বাড়ানো হয়। আবার ধারাবাহিকভাবে প্রতি বছর রাজস্ব আদায়ও বাড়ে। তবে বেশিভাগ সময়ে লক্ষ্যমাত্রা ছোঁয়া যায় না। এবার লক্ষ্যমাত্রা কিছুটা সহনীয় ছিল। কিন্তু রাজনৈতিক অস্থিরতা ও উচ্চ শুল্কে পণ্য আমদানি কমে যাওয়ার কারণে এই অর্থ বছরের প্রথম ছয় মাসে আমরা লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী রাজস্ব আদায় করতে পারিনি।

সূত্র : ইউএনবি


আরো সংবাদ



premium cement
মোরেলগঞ্জ ১১টি হারভেস্টার মেশিন লাপাত্তায় দুদকের অভিযান রমজান শেষ হওয়ার আগে আমদানি শুল্কে পরিবর্তন আনবে না সরকার ফেলানী হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ছাত্রশিবিরের বিচারের দাবি খালেদা জিয়ার বিদেশ যাত্রা : রাস্তায় মানুষের ঢল ফেনীতে মোমবাতির আগুনে পুড়ল ১৮ ঘর কেন কিছু মানুষ ভূমিকম্প টের পায় না সরিষাবাড়ীতে ট্রাক্টরচাপায় শ্রমিকের মৃত্যু চট্টগ্রাম আদালতের নথি চুরির ঘটনায় বিচারাধীন মামলায় প্রভাব পড়বে না কল্যাণমুখী রাষ্ট্র বিনির্মাণে সৎ ও যোগ্য নেতৃত্ব তৈরি করতে হবে : রফিকুল ইসলাম ‘পলিথিন ব্যাগের ব্যবহার বন্ধে অভিযান জোরদার করবে সরকার’ সোনাগাজীতে উপজেলা আ'লীগ নেতা গ্রেফতার

সকল