০৫ জানুয়ারি ২০২৫, ২১ পৌষ ১৪৩১, ৪ রজব ১৪৪৬
`

মুক্তিযোদ্ধা ও দেশপ্রেমিকদের দল বিএনপি : ডা. জাহিদ

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছেন ডা. জাহিদ - ছবি : নয়া দিগন্ত

মুক্তিযোদ্ধা ও দেশপ্রেমিকদের দল বিএনপি মন্তব্য করে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেছেন, ‘আজকে একটি দলের দেশপ্রেমিক নিয়ে কথা শুনে হাসতে ইচ্ছে হয়। ১৯৭১ সালে যে মানুষটি সকল ভয়ভীতি উপেক্ষা করে স্বাধীনতার ঘোষণা করলেন তিনিই তো প্রকৃত দেশপ্রেমিক। ইতিহাস সাক্ষী দেশ প্রেমের পরীক্ষায় কারা উত্তীর্ণ। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ১৯৭১ সালে ঝুঁকি নিয়ে মহান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। শুধু ঘোষণা দিয়েই শেষ নয়, সম্মুখ সমরে যুদ্ধ করে দেশকে মুক্ত করেছিলেন।’

তিনি বলেন, ‘শহীদ জিয়া দেশপ্রেমের স্বীকৃতি স্বরূপ ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর দেশের সিপাহি ও জনতা ঐক্যবদ্ধভাবে বন্দিদশা থেকে মুক্ত করে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছিল। জিয়াউর রহমান আর দেশপ্রেমিক সমার্থক। বিএনপি জাতির সকল দুর্যোগে নিজেদের দুর্দিনেও মানুষের পাশে থাকে। বিগত করোনা ও বন্যার সময়ে সব প্রতিকূলতার মধ্যেও বিএনপি মানুষের পাশে ছিল।’

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সকালে সিলেট নগরীর হুমায়ুন রশীদ চত্বরে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর উদ্যোগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে যুব এশিয়া কাপ বিজয়ী তরুণ ক্রিকেট ইকবাল হোসেন ইমনের পরিবারকে উপহার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

ডা. জাহিদ বলেন, ‘আমাদের ফরেন রেমিটেন্স বলেন আর গার্মেন্টস শিল্প বলেন সব কিছুর ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন শহীদ জিয়াউর রহমান। বিএনপি সকল দুর্যোগ ও দুর্বিপাকে মানুষের পাশে থাকে। আমাদের নেতা তারেক রহমান শুধু গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন অথবা দলের কর্মীদের সুসংগঠিত করার জন্যই কাজ করেন না। তিনি সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করেন, সাধারণ মানুষের পাশে থাকেন। মানুষের দুঃখ-কষ্টে যে দলটি মানুষের পাশে দাঁড়ায়, সেই দল হচ্ছে বিএনপি। আপনারা দেখেছেন, যে খালেদা জিয়া হেঁটে হেঁটে কোর্টে গেলেন, সেই খালেজা জিয়াকে জেল থেকে হুইল চেয়ারে বসে বের হয়ে আসতে হয়েছে।’

তিনি বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ব্যক্তির চেয়ে দল বড়, দলের চেয়ে দেশ বড় শ্লোগানকে সামনে রেখে বিএনপি সব সময় দলের দুর্দিনেও মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এক বছরে মধ্যে নাকি জুলাই-আগস্টের বিচার হবে। আমরা বলতে চাই গত সাড়ে ১৫ বছরে যত গুম খুন ও নির্যাতন হয়েছে সবকিছুর বিচার করা হবে।’

আমরা বিএনপি পরিবারের আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমনের সভাপতিত্বে সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী, মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী ও কাতার বিএনপির সভাপতি শরিফুল হক সাজুর যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ও আমরা বিএনপি পরিবারের প্রধান উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক জি কে গউছ, আমরা বিএনপি পরিবারের উপদেষ্টা আশরাফ হোসেন বকুল, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন ও মিফতাহ্ সিদ্দিকী, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান চৌধুরী ও এম নাসের রহমান, জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী, সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী।

এ সময় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ও আমরা বিএনপি পরিবারের প্রধান উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘বিগত দিনে জাতির ঘাড়ে জগদ্দল পাথর চেপে বসেছিল। মানুষ নিশ্বাস নিতে পারত না, স্বাচ্ছন্দ্যে চলাফেরা করতে পারত না। রাজনৈতিক দলগুলো মিটিং মিছিল করতে পারত না। পুলিশ অনুমতি দিলেও যুবলীগ ও ছাত্রলীগকে লেলিয়ে দেয়া হত। শেখ হাসিনা দ্বিতীয়বারের মতো দেশের স্বাধীনতাকে কলঙ্কিত করেছিল। আমাদের নেতা এম ইলিয়াস আলী দেশের পক্ষে অবস্থান নিয়ে টিপাইমুখ অভিমুখে লংমার্চ করার কারণে হাসিনা তাকে নিরুদ্দেশ করে দিয়েছে। আমরা ভয়ঙ্কর নির্যাতনকে মেনে নিয়ে বুলেটের সামনে দাঁড়িয়ে গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করার জন্য রাজপথে লড়াই করেছি। তারপরও আমরা পিছপা হইনি। সাড়ে ১৫ বছর নির্যাতন নিপীড়ন সহ্য করে আন্দোলন করার ফলে জুলাই বিপ্লবে হাসিনার পতন হয়েছে। আমাদের নেত্রীকে কারাগারে নিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে। সাড়ে ১৫ বছর গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ফলেই জুলাই বিপ্লবে ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে।’

রিজভী বলেন, ‘এখন শুনছি, আগামী এক বছরে মধ্যে শুধু জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডের বিচার হবে। কিন্তু আমার প্রশ্ন হচ্ছে, এম ইলিয়াস আলীকে যারা গুম করেছে তাদের বিচার কি হবে না? যারা বিগত সাড়ে ১৫ বছরে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে মানুষকে হত্যা-নির্যাতন করেছে তাদের বিচার কি হবে না?

তিনি বলেন, ‘রুমন ও মিথুনের নেতৃত্বে আমরা বিএনপি পরিবার গঠন করার উদ্দেশ্যে সারাদেশে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন এবং যারা আহত হয়েছেন তাদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানো। এই সংগঠনটি আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে উপহার সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছে।’

সভাপতির বক্তব্যে আমরা বিএনপি পরিবারের আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমন বলেন, ‘আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আমাকে ইমনের পরিবারকে নিয়ে একটি সংবাদের লিঙ্ক পাঠান এবং ইমনের পরিবারকে সহযোগিতা করার জন্য নির্দেশনা দেন। আমাদের নেতা হাজার হাজার মাইল দূরে থাকলেও তার মন দেশে পড়ে আছে। তিনি সারাক্ষণ দেশ ও দেশের মানুষকে নিয়ে চিন্তা করেন। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের জন্য দোয়া করবেন উনি যেন সুস্থ শরীরে দেশে প্রত্যাবর্তন করতে পারেন।’

অনুষ্ঠানে তরুণ ক্রিকেটার ইকবাল হোসেন ইমনের পরিবারের হাতে দু’টি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চাবি হস্তান্তর করেন অতিথিরা।


আরো সংবাদ



premium cement
রাতের ভোটের ৩০ জেলা প্রশাসক গুরুত্বপূর্ণ পদে নির্বাচনের তারিখ নির্ভর করছে সংস্কার কতটা তার ওপর জটিলতা না থাকলে মঙ্গলবার বিদেশ যাচ্ছেন খালেদা জিয়া ধ্বংসস্তুপ থেকে অর্থনীতি টেনে তোলার চ্যালেঞ্জে অন্তর্বর্তী সরকার সম্মিলিত কল্যাণমুখী সরকার দেশের কল্যাণ আনবে : ডা: শফিক ছাত্রদলকে পড়ায় মনোযোগী হতে বললেন মির্জা ফখরুল বিএফআইইউ প্রধান হতে এস আলম ও আ’লীগের সুবিধাভোগীদের দৌড়ঝাঁপ পদ ছাড়াই রূপালী ব্যাংকে ঢালাও পদোন্নতির প্রক্রিয়া শুরু ভারতে প্রশিক্ষণ নিতে যাচ্ছেন নিম্ন আদালতের ৫০ বিচারক দুপুরে সূর্য উঁকি দিলেও রাত কেটেছে প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় শেখ হাসিনাকে ফেরাতে ভারতের প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সকল