২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

গোয়াইনঘাটে চুরির অপবাদে গণপিটুনিতে যুবক নিহত

-

সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলায় গরু চুরির অপবাদে গণপিটুনি দিয়ে চুন ও বালুমিশ্রিত পানি পান করিয়ে হেলাল মিয়া (৩২) নামের এক যুবককে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।

আজ বুধবার ভোরে (২৫ ডিসেম্বর) সিলেটের সীমান্তবর্তী গোয়াইনঘাট উপজেলার মধ্যজাফলং ইউনিয়নের জাফলং চা বাগানে এ ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার রাতভর ওই যুবককে বেধড়ক মারধর ও নির্যাতন চালানো হয়। খবর পেয়ে আজ ভোরে স্বজনরা হেলালকে হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মারা যান।

নিহত হেলালের বাড়ি উপজেলার ডৌবাড়ী ইউনিয়নের দাতারি গ্রামে।

স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার বিকেলে মধ্যজাফলং চা বাগানে গরু চুরির অপবাদ দিয়ে ইসলামপুর গাংপার গ্রামের মনির মিয়ার ছেলে মোশাররফ হোসেন, আমির উদ্দিন, একই গ্রামের আব্দুল খালিকের ছেলে সালাম ও তাদের সহযোগিরা হেলালকে ধরে নিয়ে যান। পরে তাকে একটি গাছের সাথে বেঁধে বেধড়ক মারধর করে এবং চুন ও বালুমিশ্রিত প্রায় এক লিটার পানি পান করায়। একপর্যায় হেলান অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাকে মধ্যজাফলং ইউনিয়ন কার্যালয়ে নেয়া হয়। রাতভর সেখানে রেখে হেলালকে মারধর করা হয়।

এ ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নিহতের পরিবার। তাদের অভিযোগ, পুলিশের অবহেলার কারণেই হেলালের মৃত্যু হয়েছে।

এ বিষয়ে গোয়াইনঘাট থানা পুলিশের এসআই প্রভাকর বড়ুয়া নয়া দিগন্তকে জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় খবর পেয়ে তিনি হেলালকে উদ্ধার করতে যান। তবে স্থানীয়রা তাকে বলেন, হেলালকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। তারপর তিনি ঘটনাস্থলে হেলালকে রেখে চলে আসেন।

পরিবারের লোকজন বলছেন, পুলিশ সময়মতো হেলালকে উদ্ধার করলে এভাবে তিনি মারা যেতেন না।

গোয়াইনঘাট থানার ওসি সরকার তোফায়েল আহমেদ নয়া দিগন্তকে বলেন, অতিরিক্ত মারধর এবং চুন ও বালুমিশ্রিত পানি খাওয়ানোর কারণে হেলালের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করা হলে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।


আরো সংবাদ



premium cement