সাংবাদিক তুরাব ছিলেন সত্যের পক্ষে, মানবতার পক্ষে : সেলিম উদ্দিন
- বিয়ানীবাজার (সিলেট) সংবাদদাতা
- ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮:০১
সাংবাদিক তুরাব ছিলেন সত্যের পক্ষে, মানবতার পক্ষে মন্তব্য করে জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য, ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির, সিলেট-৬ (বিয়ানীবাজার-গোলাপগঞ্জ) আসনের সংসদ পদপ্রার্থী মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেছেন, ‘সাংবাদিক তুরাব সত্যের পক্ষে থাকার কারণে প্রতিভাবান একজন সাংবাদিককে ফ্যাসিস্টের নির্দেশে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। আমাদের হৃদয় এখোনো ক্ষতবিক্ষত। আমরা তুরাব হত্যায় জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাই।’
রোববার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে বিয়ানীবাজার পৌরশহরের উত্তর বাজার ডাকবাংলোর নিচে প্রধান সড়কের চত্বরে দৈনিক নয়া দিগন্তের সিলেট ব্যুরো ও দৈনিক জালালাবাদের স্টাফ রিপোর্টার শহীদ সাংবাদিক আবু তাহের মো: তুরাবের নামে চত্বর নির্মাণের জন্য ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনকালে তিনি একথা বলেন।
জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা সেলিম উদ্দিন বিয়ানীবাজারবাসীর এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে আরো বলেন, ‘শুধু চত্বর নয় তার নামে সড়কও নামকরণ করতে হবে, যাতে শহীদ তুরাবের স্মৃতিচিহ্ন বিয়ানীবাজারের সব জায়গায় থাকে।’
তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করতে জুলাই-আগস্টে দেশে গণহত্যা চালিয়েছে। আর তার এসব হত্যাযজ্ঞের সংবাদ যাতে দেশবাসী না জানতে পারে সেজন্য দেশের ইন্টারনেট শাটডাউন, ছাত্র-জনতার পাশাপাশি সাংবাদিক হত্যাসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষকে হত্যা করেছে। এসব অপকর্মের মাস্টার মাইন্ড ছিলেন হাসিনা। এখন সৎ, আদর্শ ও মানবিক গুনাবলিসম্পন্ন নেতৃত্ব তৈরি করতে হবে যাতে আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমরা সবসময় সোচ্চার থাকতে পারি।’
সিলেটের জেলা প্রশাসক নামকরণ সংক্রান্ত চত্বর নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছেন জানিয়ে তুরাবের বড় ভাই আবু জাফর জাবুর বলেন, ‘তার ভাইকে হত্যার পর আলামত নষ্টের চেষ্টা করা হয়েছে। মামলা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার পরিকল্পনা হয়েছে। তিনি হত্যাকাণ্ডে জড়িত সকল পুলিশ কর্মকর্তাদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।’
ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে পৌর জামায়াত নেতা তানভীর এলাহি মজুমদারের সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমির আবুল খায়ের, সেক্রেটারি আবুল কাশেম, সহকারী সেক্রেটারি লাউতা ইউপি চেয়ারম্যান দেলওয়ার হোসেন, সহকারী সেক্রেটারি আব্দুল হামিদ, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি আশিকুর রহমান হেলাল, উপজেলা জামায়াত নেতা মাওলানা আমির উদ্দিন, পৌর জামায়াত নেতা শিহাবুল, সাইবুল ইসলাম, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত ছাত্রনেতা আমিনুল ইসলাম, সাপ্তাহিক আগামী প্রজন্ম সম্পাদক, সিনিয়র সাংবাদিক মিলাদ মো: জয়নুল ইসলাম, বিয়ানীবাজার প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক তোফায়েল আহমদ প্রমুখ।
শিক্ষার্থীদের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় গত ১৯ জুলাই পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে সিলেট নগরীতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সাংবাদিক আবু তাহের মো: তুরাব। তিনি বিয়ানীবাজার প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি পৌরসভার ফতেহপুর গ্রামের মাস্টার আব্দুর রহীমের ছেলে।