০৬ জানুয়ারি ২০২৫, ২২ পৌষ ১৪৩১, ৫ রজব ১৪৪৬
`

‘পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে টুরিস্ট পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে’

ট্যুরিস্ট পুলিশ শ্রীমঙ্গল জোন আয়োজিত মতবিনিময় সভা - ছবি : নয়া দিগন্ত

পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে ট্যুরিস্ট পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে মন্তব্য করে ঢাকা-সিলেট-ময়মনসিংহ বিভাগের অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসাইন বলেছেন, ‘দেশী-বিদেশী পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ও জীব বৈচিত্র সংরক্ষণে সহযোগিতা করার লক্ষে ট্যুরিস্ট পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা পর্যটকদের যেমন উৎসাহিত করছি, পাশাপাশি পরিবেশ রক্ষায়ও কাজ করে যাচ্ছি। আমরা শ্রীমঙ্গলের যেমন সৌন্দর্য রক্ষা করতে চাই, তার সাথে মঙ্গলও চাই। এই দু’টির সমতা করতে হলে স্থানীয়দের একটা ভূমিকা জরুরি। শুধু মাত্র ট্যুরিস্ট কিংবা থানা পুলিশের পক্ষে সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। যদি স্থানীয়রা এগিয়ে না আসেন।’

বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের ট্যুরিস্ট গ্রাম হিসেবে পরিচিত রাধানগরের হোটেল প্যারাগনের কনফারেন্স রুমে স্টেকহোল্ডারদের সাথে মতবিনিয় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

ট্যুরিস্ট পুলিশ সিলেট জোনের পুলিশ সুপার মোল্লা মো: শাহিনের সভাপতিত্বে ও ট্যুরিস্ট পুলিশ শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মো: কামরুল হাসান চৌধুরীর উপস্থাপনায় স্থানীয় স্টেকহোল্ডারসহ পর্যটন সংশ্লিষ্টরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসাইন বলেন, বর্তমানে অর্থনৈতিকভাবে বেশ অবদান রাখছে পর্যটন শিল্প। ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-কক্সবাজার, ঢাকা-সিলেট, ঢাকা-শ্রীমঙ্গলকে অগ্রাধিকার তালিকায় এনে খুব শীঘ্রই আমরা পর্যটকদের তথ্য সেবা প্রদানের জন্য ঢাকার কমলাপুর রেল স্টেশনে ‘ট্যুরিস্ট তথ্য-সেবা’র একটা বুথ চালু করতে যাচ্ছি। এটি পর্যটকদের জন্য সহায়ক হবে।

এছাড়া আমাদের পরিকল্পনায় আছে মৌলভীবাজারে একটা ট্যুরিস্ট পুলিশ সুপারের কার্যালয় করা। যাতে মৌলভীবাজার এবং হবিগঞ্জ জেলার ট্যুরিস্টদের সেবা দেয়া সহজ হয়। পাশাপাশি শ্রীমঙ্গলের মতো কমলগঞ্জে একটা আলাদা অফিস করার পরিকল্পনা আছে।

তিনি বলেন, বর্তমানে এক হাজার ৪০০ পুলিশ রয়েছে এ বিভাগে, এটাকে আমরা চার গুণে বৃদ্ধি করতে চাই। মাত্র ৭৮ জন জনবল নিয়ে ২০০৯ সালে কক্সবাজার থেকে আমাদের যাত্রা শুরু। তখন আমি কক্সবাজারের পুলিশ সুপার ছিলাম। ট্যুরিস্ট পুলিশের সাথে আমার সম্পর্ক ১৫ বছর। আনুষ্ঠানিকভাবে আলাদা একটা ইউনিট করা হয় ২০১৩ সালে। বর্তমানে প্রতিটি ট্যুরিস্ট এলাকায় স্থানীয় থানা পুলিশের সাথে সমন্বয় করে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। ট্যুরিস্ট সেজে যাতে অপরাধীরা নাশকতা করতে না পারে সেজন্য আমরা গোয়েন্দা নজরদারিও বাড়াচ্ছি। এছাড়া কমিউনিটি পুলিশিংয়ের মতো ‘ট্যুরিস্ট সিটিজেন ফোরাম’ নামে একটা প্লাটফর্ম শীঘ্রই চালু করা হবে। এটাতে পর্যটন সংশ্লিষ্টরাও অংশগ্রহন করবেন। এতে স্থানীয় সমস্যাগুলো আপনারাই সমাধান করতে পারবেন।

এ সময় আরো বক্তব্য দেন কমলগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও কমলগঞ্জ সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া শফি, বালিশিরা রিসোর্টের চেয়ারম্যান মো: শহিদুল হক, মাধবপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান পুষ্প কুমার কানু, স্মার্ট ট্যুরিজমের সত্তাধিকারী ও দৈনিক নয়া দিগন্তের শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি এম এ রকিব, কমলগঞ্জ প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক এম এ ওয়াহিদ রুলু, ট্যুর গাইড তাপস দাশ, লাউয়াছড়া খাসিয়া পুঞ্জির মান্ত্রী (খাসিয়া নেতা) ফিলা প্রতমী, খাসি সোশ্যাল কাউন্সিলের সভাপতি ও মাগুরছড়া পুঞ্জির মান্ত্রী জিডিশন প্রধান সুছিয়াং (করডর), বন বিভাগের এসিএফ জামিল মো: খাঁন, ব্যবসায়ী নাজমুল ইসলাম বাপ্পি, পর্যটন উন্নয়ন পরিষদ রাধানগরের সদস্য মো: তারেকুল রহমান, ৭১ টিভির মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধি আহমেদ ফারুক মিল্লাদ, যায়যায় দিনের শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি শফিকুল ইসলাম রুম্মন, সাংবাদিক আনিসুল ইসলাম আশরাফি, আদিবাসী নেত্রী মিতু রায় সিএমসির কোষাধ্যক্ষ জনক দেব বর্মা প্রমুখ।


আরো সংবাদ



premium cement