শ্রীমঙ্গলে হত্যা মামলায় প্রেমিক গ্রেফতার
- শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) সংবাদদাতা
- ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৪:৫৯
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে যুবতী হত্যা মামলায় প্রেমিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে তাকে গ্রেফতারের পর আদালতে পাঠানো হয়েছে।
শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মো: মোবারক হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
গ্রেফতার রনজিত সাঁওতাল (২১) উপজেলার রাজঘাট ইউনিয়নের উদনাছড়া চা বাগানের ৮ নম্বর বস্তির শংকর সাঁওতালের ছেলে। তিনি ওই চা বাগানে ইলেকট্রিশিয়ান হিসেবে কাজ করেন।
হত্যার শিকার বিশ্বমনি দাশ (২৫) উপজেলার রাজঘাট ইউনিয়নের উদনাছড়া চা বাগানের ৮ নম্বর বস্তির প্রয়াত লক্ষীন্দর দাশের মেয়ে। তিনি নিরালা পানপুঞ্জিতে শ্রমিকের কাজ করতেন।
শ্রীমঙ্গল থানায় বিশ্বমনি দাশের ভাই সুকমার দাশ (২২) হত্যা মামলাটি করেছেন।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) আরো জানান, গত মঙ্গলবার ভোর রাতে রনজিত সাঁওতালকে তার নিজ এলাকার একটি বিয়েবাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার আগে গত ৭ ডিসেম্বর বিশ্বমনি দাশের লাশ উদনাছড়া চা বাগানের ১১ নম্বর সেকশন থেকে উদ্ধার করা হয়।
তিনি জানান, ‘হত্যার শিকার বিশ্বমনি দাশের সাথে রনজিত সাঁওতালের দীর্ঘ দিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। প্রেম থেকে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে যায় তারা। একপর্যায়ে বিশ্বমনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। পরে সে বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকে। রনজিত পেটের বাচ্ছা গর্ভপাত ঘটাতে বিশ্বমনিকে ওষুধ কিনে দেয়। তাতে কাজ না হওয়ায় আবারো বিয়ের প্রস্তাব দেয়। বিয়ে না করলে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার হুমকি দেয় বিশ্বমনি।’
তিনি আরো জানান, ‘হত্যাকাণ্ডের দিন গত ৫ ডিসেম্বর সকালে সহকর্মীদের সাথে বিশ্বমনি দাশ কাজের উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিরাশা পানপুঞ্জিতে যায়। ওই দিন বিকেলে বাড়ি ফেরার সময় উদনাছড়া চা বাগানের ১১ নম্বর সেকশনের ভাঙ্গা ব্রিজ এলাকায় পৌঁছলে বাথরুমে যাওয়ার কথা বলে সহকর্মীদেরকে চলে যেতে বলে। সহকর্মীরা চলে যাওয়ার পর সে প্রেমিক রনজিত সাঁওতালের সাথে দেখা করে। আবারো তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। রনজিত বিয়ে করতে অপারগতা প্রকাশ করলে সাথে থাকা বিষপান করে। বিষপানের পর বিশ্বমনির মুখে ফেনা আসে এবং জোরে জোরে শব্দ করতে থাকে। এ সময় রনজিত তাকে গলায় ওড়না পেছিয়ে বাগানের ভেতরে টেনে নিয়ে যায় এবং একটি গাছের সাথে বেঁধে রাখে।’
এই কর্মকর্তা আরো জানান, ‘বিশ্বমনিকে খুঁজে না পেয়ে বাগানের বিভিন্ন সেকশনে খোঁজ করতে থাকে পরিবার। একপর্যায়ে গত ৭ ডিসেম্বর তার লাশ উদনাছড়া চা বাগানের ১১ নম্বর সেকশনের ভেতর একটি গাছের নিচে ওড়না দিয়ে গলাবাঁধা অবস্থায় দেখতে পায়। বিষয়টি থানা পুলিশকে জানালে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে পাঠায়।’
তিনি জানান, ‘রনজিত সাঁওতালকে গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে সে পুরো বিষয়টি স্বীকার করে। বিশ্বমনির মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর ঘটনাস্থল ত্যাগ করে বলে থানা পুলিশকে জানায় সে।’
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা