দিরাইয়ে দু’পক্ষের বন্দুক যুদ্ধে গুলিবিদ্ধ ১২, আহত ২৫
- দিরাই-শাল্লা (সুনামগঞ্জ) সংবাদদাতা
- ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১:১২
সুনামগঞ্জর দিরাইয়ে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দু’পক্ষের বন্দুক যুদ্ধে ১২ জন গুলিবিদ্ধসহ ২৫ জন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টায় দিরাই উপজেলার কুলঞ্জ ইউনিয়নের রাড়ইল গ্রামে সুমন ও তায়েফ বাহিনীর মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়।
জানা যায়, গুলিবিদ্ধ ১২ জনকে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকি আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি ও প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। দিরাই থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দিরাই উপজেলার রাড়ইল গ্রামে আনু মিয়া চৌধুরী ও জসীম উদ্দিন চৌধুরীর সাথে গ্রামের আধিপত্য নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে একাধিকবার বন্দুক যুদ্ধ হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, দু’পক্ষের দীর্ঘ দিনের বিরোধ ও সংঘর্ষের কারণে আনু মিয়ার পক্ষের তায়েফ ও জসীম উদ্দিনের পক্ষে সুমন নামের দু’জন দু’টি সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তুলেছে গ্রামে। তারা তুচ্ছ ঘটনায় কথা-কাটাকাটি হলেই অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার করে এলাকায় আতঙ্ক তৈরি করে। দু’ সপ্তাহ আগে একবার এভাবেই দু’ বাহিনীর সংঘর্ষের খবর পেয়ে যৌথবাহিনী ঘটনাস্থলে যায়। মঙ্গলবার আনু মিয়ার পক্ষের দায়ের করা একটি অভিযোগের তদন্তে যায় দিরাই থানা পুলিশ। মামলা তদন্ত শেষে পুলিশ গ্রাম থেকে ফেরার পর আনু মিয়ার পক্ষের তায়েফ তার বাহিনী নিয়ে প্রতিপক্ষের লোকজনের বাড়িঘরে হামলা চালায়। পরে দু’ গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।
সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন মুহিবুর রহমান চৌধুরী (২৫), আঞ্জু চৌধুরী (২৩), সোহেল চৌধুরী (২৫), জুয়েল চৌধুরী (৪০), আকমল চৌধুরী (৬২), কনর চৌধুরী (৫৫), শুভ চৌধুরী (২৭), ইসলাম উদ্দিন চৌধুরী (৬৫), জাবেদ চৌধুরী (২৫), তাসিম চৌধুরী (২৮), রাবেল চৌধুরী (২৭), জুবেদ চৌধুরী (৩২) ও মুর্শেদ চৌধুরী (৪২) ও জানে আলম চৌধুরী (২৪)।
ঘণ্টাব্যাপী চলা সংঘর্ষের ব্যাপারে এক পক্ষ অপর পক্ষের লোকদের দায়ী করছেন।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক প্রশান্ত কুমার দাস বলেন, ‘আহতদের শরীরে গুলির চিহ্ন রয়েছে।’
দিরাই থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘আধিপত্য বিস্তার নিয়ে রাড়ইল গ্রামের দু’পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। শুনেছি কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অবৈধ অস্ত্রধারীদের গ্রেফতারে অভিযান চালাচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’