২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

বিত্তবানদের বিদেশী কম্বল, গরিবের ছেঁড়া লেপ-কাঁথাই সম্বল

লেপ-তোষক - নয়া দিগন্ত

হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে শীতের আগমন বিলম্বিত হলেও বসে নেই লেপ-তোষক তৈরির কারিগররা। আগে থেকে তৈরি করা লেপ-তোষক সাজিয়ে রেখেছে দোকানে। ক্রেতারাও আনাগোনা করছে পাড়া-মহল্লার বিভিন্ন দোকানে। সম্ভ্রান্ত ও বিত্তশালী ক্রেতারা সুপারশপ থেকে সংগ্রহ করছেন বিদেশী আরামদায়ক কমফোর্টার। আর গরিব জনগোষ্ঠীর সম্বল আগের বছর তুলে রাখা ছেঁড়া লেপ কিংবা কাঁথা।

শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার কয়েকটি লেপ-তোষক তৈরির দোকান ঘুরে দেখা গেছে, ছোট সাইজের লেপ বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায়, ডাবল সাইজের লেপ বিক্রি হচ্ছে এক হাজার থেকে এক হাজার ২০০ টাকায়।

তবে আকার ভেদে লেপ তৈরির মজুরি ৩০০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।

এ বছর শিমুল তুলা প্রতি কেজি ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা, কার্পাস তুলা প্রতি কেজি ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা, প্রতি কেজি গার্মেন্টস তুলা ৭০ থেকে ৯০ টাকা, সাদা তুলা ১১০ টাকা থেকে ১৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

লেপ তৈরির লাল শালু কাপড়ের গজ আগে ছিল ৩২ থেকে ৩৫ টাকা, এখন দাম বেড়ে হয়েছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা। তোষক বানানোর কাপড় আগে ২৫ থেকে ২৮ টাকা গজ থেকে এখন বেড়ে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা হয়েছে।

তবে তুলার প্রকারভেদে লেপ-তোষকের দাম কম-বেশি হয়ে থাকে। প্রতিদিন একজন কারিগর পাঁচ থেকে ছয়টি লেপ তৈরি করতে পারে। আর একটি লেপ বিক্রি করলে তাদের ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা লাভ হয়।

লেপ কিনতে আসা ক্রেতা মানিক মিয়া বলেন, ‘একটি ডাবল লেপ বানিয়ে নিতে দেড় থেকে দু’হাজার টাকা খরচ হয়। বাজারে সব জিনিসপত্রের দাম বেশি, যার জন্য অতিরিক্ত টাকা খরচ হয়। তাই এবার পুরনো লেপকে নতুন করে বানিয়ে নেব।’

মায়ের দোয়া বেডিং স্টোরের মালিক ফরিদ মিয়া বলেন, ‘প্রতি বছরই লেপ-তোষক তৈরির তুলা ও কাপড়ের মূল্য বৃদ্ধি পায়। যখন যে দাম, তা দিয়েই ব্যবসা করতে হচ্ছে। গরিবের শীত নিবারণ বস্ত্র কেনা কষ্ট সাধ্য হয়ে পড়েছে। তাই বলতে হয়, বিত্তবানদের কমফোর্টার কম্বল, গরিবের ছেঁড়া লেপই সম্বল।’

তিনি জানান, গত বছরের তুলনায় তুলার মূল্য বাড়ার সাথে সাথে কাপড়ের মূল্য গজ প্রতি ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement