সিলেটে দোকান থেকে আইসক্রিম বিক্রেতার লাশ উদ্ধার

সিলেটের কানাইঘাটে আব্দুর রহমান লাল মিয়া (৪০) নামের এক আইসক্রিম বিক্রেতার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

শুক্রবার (২২ নভেম্বর) সকাল ১১টার দিকে পৌর শহরের মাদরাসা রোডের সেলিম উদ্দিনের মালিকানাধীন ভবনের নিচ তলার একটি দোকান ঘর থেকে এ উদ্ধার করা হয়।

আব্দুর রহমান লাল মিয়া উপজেলার বড়চতুল ইউনিয়নের লখাইর গ্রামের বাসিন্দা।

জানা যায়, পৌর শহরের একটি দোকান ভাড়া নিয়ে আব্দুর রহমান লাল মিয়া দীর্ঘ দিন থেকে ভ্যানে করে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে আইসক্রিম ও খেলনা সামগ্রী বিক্রি করতেন। তিনি ওই দোকানে থাকতেন ও মালামাল রাখতেন। গত বুধবার সাতবাঁক ইউনিয়নের লালারচক মাদরাসার জলসায় তাকে খেলনা ও আইসক্রিম বিক্রি করতে অনেকে দেখেছেন। ওইদিন রাত থেকে লাল মিয়ার মুঠোফোন বন্ধ থাকায় পরিবারের লোকজন তার সাথে কোনো যোগাযোগ করতে পারেননি। এতে সন্দেহ হয় পরিবারের।

খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে শুক্রবার সকালে তার পরিবারের লোকজন এসে ওই দোকান ঘরের বাইরে তালা দেয়া দেখতে পান। পরে তালা ভেঙে দোকান ঘরের চৌকির ওপর লাল মিয়ার রক্তাক্ত লাশ দেখতে পান তারা।

তবে কী কারণে এ হত্যা হয়েছে তার কারণ জানা যায়নি।

ঘটনাটি থানা পুলিশকে অবহিত করলে থানার ওসি আব্দুল আউয়াল একদল পুলিশ নিয়ে সকাল ১১টায় ঘটনাস্থলে গিয়ে লাল মিয়ার লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান। পরে তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট মর্গে পাঠানো হয়েছে।

স্বজনরা জানান, ‘আইসক্রিম ও খেলনা সামগ্রী বিক্রি করতেন লাল মিয়া। তার লাশ দোকানের ভেতর থাকা চৌকির ওপর পড়ে থাকতে দেখা যায়। এ সময় তার বিছানার চাদর ও পরনের কাপড় এলোমেলোভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল। তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও টাকা-পয়সা কোনো কিছু পাওয়া যায়নি।’

স্থানীয় ইউপি সদস্য ইসলাম উদ্দিন জানান, ‘লাল মিয়া বিবাহিত, তার এক ছেলে ও দু’ মেয়ে রয়েছে। লাল মিয়া বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে আইসক্রিম বিক্রির সুবাদে তিনি পৌর শহরের একটি দোকান ভাড়া নিয়ে থাকতেন, মাঝেমধ্যে বাড়িতে যেতেন।’

থানার ওসি আব্দুল আউয়াল জানান, ‘আব্দুর রহমান লাল মিয়ার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। কারা এ হত্যার সাথে জড়িত তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’