‘ভারতের সাথে সম্পর্ক হবে রাষ্ট্রের সাথে রাষ্ট্রের, প্রভুর সাথে গোলামের নয়’
- এমজেএইচ জামিল, সিলেট
- ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৫:২৭
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা ও বিএনপির আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির বলেছেন, ‘ভারতের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক হবে রাষ্ট্রের সাথে রাষ্ট্রের, প্রভুর সাথে গোলামের নয়। শুধু ভারত নয়, বৈদেশিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে বিএনপির পলিসি হবে বন্ধু রাষ্ট্রের মতো।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের নেতা আগামীর রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমানের কূটনৈতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে অনুসরণ করতে চান। সুখী সমৃদ্ধ বৈষম্যহীন মানবিক বাংলাদেশ গঠনে বিএনপি তার আদর্শিক কর্মপন্থা নির্ধারণ করেছে। সেই আলোকেই বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমেই গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ বিনির্মাণ সম্ভব।’
শনিবার রাতে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ এনামুল হক চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও মহানগর মুক্তিযোদ্ধা দলের আহ্বায়ক সালেহ আহমদ খসরুর উপস্থাপনায় নগরীর জিন্দাবাজারস্থ একটি অভিজাত রেষ্টুরেন্টের হলরুমে সুধীজনদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘ছাত্র-জনতার রক্তাক্ত আন্দোলনে দেশ ফ্যাসিবাদ মুক্ত হয়েছে ঠিকই। কিন্তু এর পেছনে দেশনায়ক তারেক রহমানের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। ফ্যাসিস্ট সরকারের রোষানলে পড়ে তিনি বিদেশে নির্বাসিত থাকলেও সর্বদা দেশ জাতিকে নিয়েই ব্যস্ত সময় পার করেছেন। তার টানা ১৭ বছরের কাজের ফলাফল ছিল ৫ আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান। বিএনপির রাজনীতির মূলনীতি হচ্ছে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গঠন। তাই ছাত্র সমাজের সাথে বিএনপির কোনো বিরোধ নেই এবং থাকবেও না।’
হুমায়ুন কবির বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের পালাবদলের ফ্যাসিস্টদের খুশী হওয়ার সুযোগ নেই। কারণ সরকার বদলের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতির খুব একটা পরিবর্তন হওয়ার নজির নেই। আমাদের বিশ্বাস যুক্তরাষ্ট্র কোন ফ্যাসিস্টকে পুনর্বাসনের সুযোগ দিবে না। বিএনপির মূল শক্তি হলো জনগণ। তাই গণতন্ত্রকে বিকশিত করাই বিএনপির আসল উদ্দেশ্য। দীর্ঘদিন গণতন্ত্র না থাকার কারণে দেশের আজ এমন অবস্থা। পতিত ফ্যাসিস্ট সরকার রাষ্ট্রযন্ত্রের প্রতিটি সেক্টরকে কলুষিত করেছে। ফ্যাসিবাদের দোসররা এখনো নানা ষড়যন্ত্র করছে। আওয়ামী ফ্যাসিবাদে বিধ্বস্ত রাষ্ট্রকে মেরামত করতে বিএনপির ৩১ দফার বাস্তবায়নই যথেষ্ট। এতে জনসম্পৃক্ততা বাড়াতে প্রতিটি দেশপ্রেমিক জনতাকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করতে হবে।’
এ সময় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. সাজেদুল করিম, বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (সিলেট বিভাগ) মিফতাহ সিদ্দিকী, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ডা. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী, আবুল কাহের চৌধুরী শামীম, সিলেট শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর জাকির আহমদ চৌধুরী, শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর হায়াতুল ইসলাম আখঞ্জী, সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী, সম্মিলিত পেশাজীবি পরিষদ সিলেটের সভাপতি ডা. শামীমুর রহমান, সিলেট মহানগর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আব্দুল কাইয়ুম জালালী পংকী, সিলেট জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ইশতিয়াক আহমদ সিদ্দিকী, ইসলামিক ফাউন্ডেশন সিলেটের উপ-পরিচালক মাওলানা শাহ নজরুল ইসলাম, জাতীয় ইমাম সমিতি সিলেট মহানগর সভাপতি মাওলানা হাবিব আহমদ শিহাব, সিলেট প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা: জিয়াউর রহমান চৌধুরী, সিলেট জেলা বিএনপির উপদেষ্টা আশিক উদ্দিন চৌধুরী, ময়নুল হক চৌধুরী, সিলেট জজ কোর্টের সাবেক পিপি অ্যাডভোকেট এটিএম ফয়েজ, মহানগর আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট বদরুল আহমদ চৌধুরী, সিলেট মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডীন প্রফেসর ডা. নাজমুল ইসলাম, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. রাশেদ হাসনাথ ও প্রফেসর ড. সিদ্দিকুল ইসলাম, সরকারি মদন মোহন কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক ফরিদ আহমদ, সিলেট ব্যবসায়ী ঐক্য কল্যাণ পরিষদের সভাপতি আব্দুর রহমান রিপন, লন্ডন বিএনপির সহ-সভাপতি আব্দুস সাত্তার, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম আহমদ, সিলেট মহানগর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুব চৌধুরী, সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এটিএম হেলাল, সিলেট জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আব্দুল আহাদ খান জামাল, সিলেট চেম্বারের সহ-সভাপতি আব্দুস সামাদ তুহেল, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মকসুদ আহমদ ও জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি লিটন আহমদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা