২১ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ১৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

সিলেটে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেনসহ ২১৩ জনের নামে হত্যাচেষ্টা মামলা

সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন - ছবি : সংগৃহীত

সিলেটে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও এমপি ড. এ কে আবদুল মোমেন ও তার স্ত্রী সেলিনা মোমেনসহ ২১৩ জনকে আসামি করে বিস্ফোরক ও হত্যাচেষ্টা মামলা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) রাতে সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার মোগলাবাজার ইউনিয়নের জালালপুরের সদরপুর গ্রামের বাসিন্দা মো: আলাল মিয়া কোতোয়ালি থানায় এ মামলা করেন।

এ মামলায় ১৫৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ৫০ থেকে ৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

সিলেটের কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: জিয়াউল হক মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, কোতোয়ালি থানায় বিস্ফোরক ও হত্যাচেষ্টা আইনে মামলা করা হয়েছে। মামলার ১ নম্বর আসামি সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন, ২ নম্বর আসামি তার স্ত্রী সেলিনা মোমেন, ৩ নম্বর আসামি সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।

এছাড়া মামলায় অন্য আসামিরা হলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন (৬১), মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আফতাব হোসেন খান, ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এস এম শওকত আমীন তৌহিদ (৪৬), মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক আবদুর রহমান জামিল (৫৭), বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অভিনেত্রী তারিন জাহান (৪২), সিলেট জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান হেলেন আহমদ (৪০), সিলেট মহানগর শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আলম রোমেন (৬০), যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেনের এপিএস শফিউল আলম জুয়েল (৪০)।

সিলেট মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মুর্শেদ আহমদ চৌধুরী (৫৫), কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শামীম আহমদ (৫২), সিলেট মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলীম তুষার (৩৮), জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শাহরিয়ার আলম সামাদ (৪০), জেলা আওয়ামী লীগ সদস্য শহিদুল ইসলাম জাবেদ (৪৫), জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য সুবাস দাস (৪৫), সিলেট সিটি করপোরেশনের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আবুল কালাম আজাদ লায়েক (৫০), সিলেট সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিরন মিয়া (৬০), সিলেট মহানগর কৃষক লীগ সভাপতি আব্দুল মোমিন চৌধুরী (৬০), সিলেট সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি নিজাম উদ্দিন (৬০), সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ লায়েক আহমদ চৌধুরী (৬৫), ৭ নম্বর ওয়ার্ড মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজমা আক্তার নাজু (৩৭), ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হাই খছরু (৫২), মহানগর ছাত্রলীগ নেত্রী জামান্তি গোয়ালা (২৪), মহানগর ছাত্রলীগের যুগ্মা সাধারণ সম্পাদক রাহাত হোসেন চৌধুরী রাজু (২০), তেতলী ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি বেলায়েত (৩০), উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও মাইজগাঁও ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান জুবেদ আহমদ চৌধুরী শিপু (৫০), বড়লেখা উপজেলা আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক মুমিনুল হক টনি (৪৫), বড়লেখা উপজেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রানা (২৭), কানাইঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা আবদুর রহমান (৫০), উপজেলা যুবলীগ নেতা সাইক আহমদ (৪০), উপজেলা উলামা লীগ নেতা হাফিজ আব্দুল মতিন (৪৮), স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আনোয়ার হোসেন (৩৫), সাতবাক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুস সুবহান (৫২), দক্ষিণ সুরমা উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সারওয়ার হোসেন চৌধুরী (৩৩), গোয়াইনঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের গোলাপ মিয়া (৫৫), জেলা উলামা লীগ নেতা মোহাম্মদ শরীফ উদ্দন, মহানগর বঙ্গবন্ধু প্রজন্ম লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো: ছুরত আলী (৪৬)।

মামলায় উল্লেখ করা হয়, গত ৪ আগস্ট বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সিলেট নগরের মিরবক্সটুলায় খায়রুন ভবনের সামনের সড়কে ছাত্র-জনতার ওপর আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা ঝাঁপিয়ে পড়ে। তারা অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, কাটা রাইফেল, পাইপগান, রামদা, গুলি, চাইনিজ কুড়াল, ককটেল, পেট্রোল বোমা ও সাউন্ড গ্রেনেডসহ অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হামলা চালায়।

আন্দোলনকারীদের মারধর করে ওই সময় তারা ককটেল বোমা, সাউন্ড গ্রেনেড, পেট্রোল বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। এ সময় বাদি পেশাগত কাজ শেষে বাসায় যাওয়ার পথে হামলার শিকার হন। গুরুতর জখম অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে একটি হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন থাকার কারণে মামলা করতে দেরি হয় বলে উল্লেখ করেন তিনি।

এ বিষয়ে এসএমপির এডিসি মিডিয়া সাইফুল ইসলাম জানান, বুধবার রাতেই এ মামলার বিষয়ে আমরা খোঁজখবর নিয়েছি। আসামিদের গ্রেফতার করতে পুলিশ দ্রুত অভিযান শুরু করবে।


আরো সংবাদ



premium cement