সিলেটে শিশু মুনতাহা হত্যায় ৪ আসামি ৫ দিনের রিমান্ডে

সিলেটের কানাইঘাটে নৃশংসভাবে শিশু মুনতাহা আক্তার জেরিন (৬) হত্যা মামলায় সাবেক গৃশিক্ষিকাসহ আটক চার আসামির পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

সোমবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে সিলেট জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক কাজী মো: আবু জাহের বাদলের আদালতে বাদী পক্ষের আইনজীবী সাত দিনের রিমান্ড চাইলে আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

মুনতাহা আক্তার জেরিন সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার সদর ইউনিয়নের বীরদল ভাড়ারিফৌদ গ্রামের শামীম আহমদের মেয়ে। গ্রেফতার হওয়া চারজনই নিহত মুনতাহার প্রতিবেশী বলে জানা গেছে।

এর আগে রোববার (১০ নভেম্বর) ভোরে বাড়ির পাশের একটি খালের কাদামাটিতে পুঁতে ফেলা লাশ তুলে মুনতাহার চাচার বাড়ির পুকুরে ফেলার সময় হাতেনাতে ধরা পড়েন সাবেক গৃহশিক্ষিকার মা আলিফজান বিবি (৫৫)। এ সময় তার কাছে গলায় রশি পেঁচানো অবস্থায় মুনতাহার লাশ উদ্ধার করা হয়।

গ্রেফতার হওয়া আসামিরা হলেন কানাইঘাট থানার বীরদল ভাড়ারীফৌদ গ্রামের মরহুম ময়না মিয়ার স্ত্রী আলিফজান (৫৫) ও তার মেয়ে শামীমা বেগম মার্জিয়া (২৫), একই এলাকায় ইসলাম উদ্দিন (৪০) ও নাজমা বেগম (৩৫)।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ‘গত ৩ নভেম্বর বিকালে নিজ বাড়ির আঙ্গিনা থেকে নিখোঁজ হন মুনতাহা আক্তার জেরিন। এরপর থেকে তার খোঁজে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলে ব্যাপক প্রচারণা। অনেকের আশা ছিল ফুটফুটে সুন্দর শিশু মুনতাহা সুস্থভাবে মায়ের কোলে ফিরে আসবে। হ্যাঁ, সে ফিরেছে, তবে জীবন্ত নয়, লাশ হয়ে।’

কানাইঘাট থানার ওসি আব্দুল আউয়াল জানান, ‘আসামিরা হত্যার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। এরপরও মামলার তদন্তের স্বার্থে আসামিদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে হত্যার পেছনে আরো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বেরিয়ে আসার সম্ভাবনা রয়েছে।’

সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আসামিরা হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। এরপর তাদের স্বীকারোক্তি পরীক্ষা করা হচ্ছে। এ ঘটনার সাথে আরো কিছু নাম এসেছে। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। আসামিরা রিমান্ডে গেলে আরো বিস্তারিত বলবেন বলে আমার প্রত্যাশা করছি।’

উল্লেখ্য, রোববার সকালে উদ্ধারের পর মুনতাহার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। ময়নাতদন্ত শেষে রোববার বাদ আসর বীরদল পুরানফৌদ জামে মসজিদে জানাজা শেষে গ্রামের পঞ্চায়েত কবরস্থানে মুনতাহার লাশ দাফন করা হয়।