বাংলাদেশের সাথে ব্রিটিশ কাউন্সিলের ৬৫ বছরের সম্পর্ক : হেলেন সিলভেস্টার
- আবদুল কাদের তাপাদার সিলেট
- ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ২২:৫১
বাংলাদেশের সাথে ব্রিটিশ কাউন্সিলের ৬৫ বছরের সম্পর্ক রয়েছে মন্তব্য করে ব্রিটিশ কাউন্সিল দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক হেলেন সিলভেস্টার বলেছেন, ‘এই মুহূর্তে বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায় ব্রিটিশ কাউন্সিলের বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়িত হচ্ছে। ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশ এবং যুক্তরাজ্যের জনগণের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন, মেধা ও সংস্কৃতির বিনিময় এবং বিভিন্ন ধরনের দক্ষতা বৃদ্ধিতে কাজ করছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা মেধা ও যোগ্যতা কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের জনগণকে আত্মবিশ্বাসী করে উন্নত জীবনের সুযোগ সৃষ্টিতে কাজ করছি। আমরা বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের অংশীদারদের মধ্যে সাংস্কৃতিক সেতুবন্ধন, উচ্চ শিক্ষা ও ইংরেজি শিক্ষায় অবদান রাখার চেষ্টা করছি। এ সময় সিলেট অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের ব্রিটিশ কাউন্সিলের ই-লাইব্রেরির বইপুস্তক, ই-বুক ও জার্নাল পড়ার সুযোগ দেয়ার আশ্বাস দেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে নগর ভবনে হেলেন সিলভেস্টারের নেতৃত্বাধীন একটি প্রতিনিধি দল সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রশাসক আবু আহমদ ছিদ্দীকীর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
এ সময় আবু আহমদ ছিদ্দীকী প্রতিনিধি দলের সদস্যদের ফুল দিয়ে স্বাগত জানান।
ব্রিটিশ কাউন্সিল দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক হেলেন সিলভেস্টার বলেন,
সরকারি, বেসরকারি খাত এবং সুশীল সমাজের সাথে শক্তিশালী অংশীদারত্বের মাধ্যমে শিক্ষা, দক্ষতা, অর্থনৈতিক এবং নাগরিক অংশগ্রহণের মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে ভবিষ্যতেও কার্যক্রম অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘সিলেট সিটি করপোরেশন এলাকার শিক্ষার উন্নয়নে যৌথভাবে সিটি করপোরেশনের সাথে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেন। এ সময় তিনি শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথেও কাজ করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রশাসক আবু আহমদ ছিদ্দীকী বাংলাদেশ এবং যুক্তরাজ্যের মধ্যে দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের বিষয়টি তুলে ধরে যৌথ কার্যক্রমের মাধ্যমে দু’দেশের সম্পর্ক আগামীতে আরো সমৃদ্ধ হবে বলে আশা প্রকাশ করেন। সিলেটের শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়নে ব্রিটিশ কাউন্সিলকে সহযোগিতা অব্যাহত রাখার অনুরোধ করেন তিনি।
মতবিনিময় সভায় ব্রিটিশ কাউন্সিলের বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর স্টিফেন ফোর্বস, সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রেজাই রাফিন সরকার ও প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান বক্তব্য দেন।
সিটি করপোরেশনের সচিব মো: আশিক নূর, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো: মতিউর রহমান খান, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো: জাহিদুল ইসলাম, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা বিশ্বজিত দেব, বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার মো: ইসলাম উদ্দিন, সিটি করপোরেশনের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা লেফট্যানেন্ট কর্নেল (অব:) একলিম আবদীন, বস্তি উন্নয়ন কর্মকর্তা মো: আবুল ফজল, শিক্ষা, সংস্কৃতি, পাঠাগার ও সমাজকল্যাণ কর্মকর্তা নেহার রঞ্জন পুরকায়স্থ উপস্থিত ছিলেন।