০৭ নভেম্বর ২০২৪, ২২ কার্তিক ১৪৩১, ৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

ওসমানীনগরে পদত্যাগের দাবিতে মিছিলের পর ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার

- ছবি : নয়া দিগন্ত

সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার সাদীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা সাহেদ আহমদ মূসার পদত্যাগের দাবিতে দিনভর মিছিলে উত্তাল ছিল সাদীপুর ইউপি কার্যালয়।

বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে ইউপি কার্যালয়ের সামনে তার পদত্যগের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করে স্থানীয় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। পরে একই দিন বেলা ১১টার দিকে চেয়ারম্যানের পক্ষে শিক্ষার্থীদের একটি মিছিল আসে কার্যালয়ের সামনে। এ সময় উভয় পক্ষে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

খবর পেয়ে স্থানীয় বিএনপি নেতা শাহ এহিয়া দলীয় নেতৃবৃন্দ নিয়ে ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন। তখন উভয় পক্ষে হাতাহাতি হয়। এক পর্যায়ে বিএনপি নেতারা ও স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের মধ্যস্থতায় উভয়পক্ষকে বুঝালে তারা মিছিল নিয়ে স্থান ত্যাগ করেন।

পরে একই দিন দুপুর ১টার দিকে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের উপস্থিতিতে ওসমানীনগর সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহানাজ পারভীন সাদীপুর ইউপি সচীব মারুতি নন্দন ধামকে বলেন, ‘বিষয়টি নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ইউপি চেয়ারম্যান সাহেদ আহমদ মূসা আর অফিস করবেন না।’

এ সময় ওসমানীগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোনায়েম মিয়া, (তদন্ত, ওসি) আরাফাত জাহান চৌধুরী, বিএনপি নেতা শাহ এহিয়া, সৈয়দ হুমায়েল আহমদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে, একই দিন বিকেল ৩টার দিকে গোয়ালাবাজার থেকে সিলেট ডিবি পুলিশের একটি দল চেয়ারম্যান সাহেদ আহমদ মূসাকে আটক করে সিলেটে নিয়ে যায় বলে নিশ্চিত করেন ওসমানীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোনায়েম মিয়া।

অন্যদিকে, স্থানীয় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কর্মীরা ইউপি চেয়ারম্যানকে বরখাস্ত করার জন্য এবং চেয়ারম্যানকে বরখাস্ত না করতে তার পক্ষে একটি গ্রুপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত আবেদন করেছেন।

প্রসঙ্গত, গত ৪ আগস্ট বিকেল ৫টার দিকে শেরপুর গোল চত্বরে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করে স্থানীয় ছাত্র-জনতা। তখন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা করলে ছাত্রনেতা জুমান কোরেশি, সৈয়দ ফারহান আহমদ মুরসালিন, রাব্বি, সবুজ ও সায়মন আহত হন।

শিক্ষার্থীদের দাবি, আওয়ামী লীগ নেতা চেয়ারম্যান সাহেদ আহমদ মূসার নেতৃত্বে তাদের ওপর হামলা করানো হয়। হামলার পর শেরপুর ব্রিজ বন্ধ করে আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ আন্দোলনকারীদের তল্লাশি করে। তখন তারা ব্রিজ দিয়ে না গিয়ে নৌকায় কুশিয়ারা নদী পাড়ি দিয়ে বাড়ি এসেছেন।

৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর চেয়ারম্যান মূসা ছুটি নিয়ে ইউপি সদস্য সামসুল ইসলাম শামিমকে ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব দিয়ে যুক্তরাজ্যে চলে যান। সম্প্রতি তিনি দেশে ফিরে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নিলে তার পদত্যাগের দাবিতে ৪ নভেম্বর থেকে প্রতিদিন স্থানীয় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কর্মীরা মিছিল করে আসছে।


আরো সংবাদ



premium cement
অবশেষে অন্তর্বর্তী ৩ পার্বত্য জেলা পরিষদ পুনর্গঠন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ও ৫ সদস্যের পদত্যাগ ডেঙ্গু আরো ৭ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ১২০৯ নবাবগঞ্জে আড়াই বছর পর কবর থেকে ৩ যুবকের লাশ উত্তোলন শহীদ নাফিজকে বহনকারী রিকশাটি জুলাই বিপ্লব স্মৃতি জাদুঘরে সংরক্ষণ করা হবে স্বৈরাচারের ষড়যন্ত্রে দেশে রাজনৈতিক সঙ্কট সৃষ্টির অপচেষ্টা চলছে : নজরুল ইসলাম ‘সিপাহী-জনতার যুগপৎ বিপ্লব ছিল স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের রক্ষাকবচ’ আমি নভেম্বর বিপ্লব দেখেছি শেখ হাসিনা বাংলাদেশের একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী : ভারত সরকারের মুখপাত্র ইসলামী ব্যাংকে গ্রাহকের আস্থা দুদক সংস্কার কমিশন, জন-প্রত্যাশা

সকল