সিকৃবির প্রশাসনিক ভবনে তালা, খোলা হলো ভিসির অনুরোধে
সঙ্কট নিরসনে ভিসি এক সপ্তাহের সময় নিয়েছেন- আবদুল কাদের তাপাদার, সিলেট
- ২৯ অক্টোবর ২০২৪, ১৯:০১, আপডেট: ২৯ অক্টোবর ২০২৪, ২১:৩০
রেজিস্ট্রার ও প্রক্টরিয়াল বডির পদত্যাগসহ আট দফা দাবিতে প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়ে দিনভর বিক্ষোভ করেছে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এতে ভেতরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে ৫০ জনের বেশি শিক্ষক-কর্মকর্তা।
পরে বিকেলে ভিসির অনুরোধে তালা খুলে দেয়া হয়। এ সময় আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে সঙ্কট নিরসনের আশ্বাস দিয়েছেন ভিসি। এ সময় প্রক্টরকে তার দায়িত্ব পালন থেকে বিরত থাকার বিষয়টিও নিশ্চিত করেন তিনি।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার নতুন শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানিয়ে ছাত্রদলের টানানো দু’টি ব্যানার ছিঁড়ে ফেলাকে কেন্দ্র করে সাধারণ শিক্ষার্থী ও ছাত্রদলের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় কয়েকজন বহিরাগত এসে সেখানে যোগ দেয় বলে অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনার পর থেকেই ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, তাদেরকে হুমকি-ধমকি দেয়া হচ্ছে। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারের কথা বলা হচ্ছে। এ সময় আট দফা দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবার ঘোষণা দেন তারা।
তারা আরো জানান, সব একাডেমিক কার্যক্রম বর্জন অব্যাহত থাকবে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, সঙ্কট নিরসনে কাজ করছে তারা। উদ্ভূত পরিস্থিতি সমাধানে তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোজাম্মেল হক জানান, ‘সোমবার ৩০ সদস্যের শিক্ষার্থী দলের সাথে দীর্ঘ আলোচনায় হয়েছিল। তাদের দাবিগুলো শুনেছি আমরা। দাবি বাস্তবায়নে ভাইস চ্যান্সেলর এক সপ্তাহের সময় চেয়েছেন। কিন্তু শিক্ষার্থীরা তা মানছেন না। আমরা তাদের সাথে আলোচনা করতে রাজি আছি।’
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ডিপার্টমেন্ট অব পোল্ট্রি সাইন্সের প্রফেসর ড. এম রাশেদ হাসনাত জানান, ‘শিক্ষার্থীদের কোনো ধরনের হুমকি-ধামকি দেয়া হয়নি। আমরা এসেছি তাদের জন্য। শিক্ষার্থীরা আমাদের সন্তানের মতো। শিক্ষকদের পক্ষ থেকে কয়েকবার তাদের সাথে আলোচনার চেষ্টা করা হলেও তা ফলপ্রসূ হয়নি।’
সিকৃবির ভিসি প্রফেসর ড. আলিমুল ইসলাম দৈনিক নয়া দিগন্তকে জানান, ‘দু-একদিনের মধ্যে পরিস্থিতি শান্ত হয়ে আসবে ইনশাআল্লাহ।’