২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

‘মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস কোনো দলের একক নয়’

- ছবি : নয়া দিগন্ত

জুলাই ২০২৪-এ ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান ও ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর লগি-বৈঠার তাণ্ডব চালিয়ে গণহত্যার বিচারের দাবিতে সুনামগঞ্জের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় বক্তারা বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সারাদেশের মানুষের ইতিহাস, এটা কোনো পরিবার বা গোষ্ঠীর একক কোনো ইতিহাস নয়।’

শুক্রবার বেলা ১১টায় সুনামগঞ্জ শিল্পকলা অ্যাকাডেমিতে অনুষ্ঠিত সভায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সুনামগঞ্জ পৌর ও সদর শাখার আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিলেট মহানগরী জামায়াতের আমির ফখরুল ইসলাম।

সুনামগঞ্জ পৌর জামায়াতের আমির অ্যাডভোকেট নুরুল আলমের সভাপতিত্বে ও পৌর জামায়াতের সেক্রেটারি আব্দুল ছত্তার মামুন ও সুলেমন চৌধুরীর যৌথ সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন, সুনামগঞ্জ জেলা জামায়াতের আমির উপাধ্যক্ষ মাওলানা তোফায়েল আহমেদ খাঁন, জেলা নায়বে আমির অধ্যাপক আব্দুল্লাহ অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম, জেলা নায়বে আমির অ্যাডভোকেট শামছুদ্দীন, জেলা সেক্রটারি মমতাজুল ইসলাম আবেদ, জেলা ছাত্র শিবির সভাপতি মনিরুজ্জামান পিয়াস প্রমুখ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘ইসলাম ধর্ম সব সময় শান্তিতে বিশ্বাসী। জামায়াতে ইসলাম বাংলাদেশে শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে। যারা জামায়াতকে উগ্রবাদী সংগঠন বলে মিথ্যা অপবাদ করেছিল তারা আজ ধ্বংসের পথে। জালিম আওয়ামী লীগ লগি-বৈঠার তাণ্ডব চালিয়ে ১৮ জন নিরীহ মানুষকে হত্যা করেছিল। আওয়ামী জালিম সরকার বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে এমনকি কোরআনের তাফসির মাহফিল বন্ধ করে দিতেও কার্পণ্য করেনি। তারা হত্যা, গুম, লুটপাট, টেন্ডার বাণিজ্য, পেশী শক্তির মাধ্যমে দেশে এক নায়েক তন্দ্র কায়েম করতে ছিল। জুলাইয়ে গণহত্যা, বিডিয়ার হত্যাকাণ্ড, শাপলা চত্বরের নারকীয় হত্যাকাণ্ড, নির্দোষ নেতাকর্মীদের মিথ্যা অপবাদ দিয়ে নিজেদের মন মতো আইন তৈরী করে ফাঁসি দিয়েছে। হাজারো নেতাকর্মী ও নিরীহ মানুষকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে ঘর ছাড়া, পরিবারের কাছ থেকে সরিয়ে রেখেছে। এসব অন্যায় ও হত্যার বিচার হতেই হবে। যদি এসব হত্যাকাণ্ডের বিচার না করা হয়, তা হলে দুর্বার গতিতে বিচারের দাবিতে আন্দোলন করা হবে।

তারা আরো বলেন, ‘পরাজিত ফ্যাসিবাদী শক্তি বার বার দেশকে অস্থিতিশীল করতে চেষ্টা করে যাচ্ছে। তাদের ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবেলা করতে হবে। যারা দেশের জন্য, ন্যায়ের জন্য শহীদ হয়েছেন তাদের কোনো দিন দেশের মানুষের হৃদয় থেকে মুছা যাবে না। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সারাদেশের মানুষের ইতিহাস, এটা কোনে পরিবার বা গোষ্ঠীর একক কোনো ইতিহাস নয়।

বক্তারা বলেন, ‘চার দলীয় জোট সরকারের আমাদের বন্ধু প্রতীম সংগঠন বিএনপির একটি শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ছিল তাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে, আমাদেরও শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ছিল বায়তুল মোকাররমে। কিন্তু ফ্যাসিষ্ট সরকার আওয়ামী লীগ ওই দিন লগি বৈঠা দিয়ে ছাত্রলীগ-যুবলীগ দিনে দুপুরে মানুষ হত্যা করেছে। তারা জামায়াতকে নিষিদ্ধ করে নিজেরাই নিষিদ্ধ হয়ে গেল। স্বাধীনতার চেতনার কথা বলে, মুক্তিযুদ্ধের কথা বলে দেশকে রক্তাত করেছিল। প্রতিহংসার পরায়নতায় মত্ত হয়ে জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতাদেরকে বিনা দোষে দোষী বলে ফাঁসি দিয়ে এদেশের মানুষের চোখে ধুলি দিয়েছে। ফ্যাসিষ্ট আওয়ামীগের সরকারের সকল অপকর্মের বিচার করা হবে। ২০০৬ সালে এই বর্বর আওয়ামী সন্ত্রাসীরা শাপলা চত্বরে যে হত্যা করেছে তার বিচার প্রচলিত আইনেই করা হবে।


আরো সংবাদ



premium cement