০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১৯ আশ্বিন ১৪৩১,
`

অবশেষে সিলেটে কবর থেকে তোলা হচ্ছে ছাত্র আন্দোলনে নিহত ৬ জনের লাশ

- ছবি : সংগৃহীত

অবশেষে সিলেটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত ছয়জনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে তোলা হচ্ছে। ইতোমধ্যে চারটি লাশ তোলার জন্য চারজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

পুলিশ ও আদালত সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৪ ও ৫ সেপ্টেম্বর পৃথকভাবে সিলেটের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালত-২-এর বিচারক আবিদা সুলতানা মলি নিহত ছয়জনের লাশ তোলার আদেশ দেন।

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের আগে ৪ আগস্ট গোলাপগঞ্জে ছাত্র-আন্দোলনে গুলিতে নিহত হন উপজেলার নিশ্চিন্ত গ্রামের মরহুম তৈয়ব আলীর ছেলে নাজমুল ইসলাম (২৪), দক্ষিণ রায়গড় গ্রামের মরহুম সুরই মিয়ার ছেলে হাসান আহমদ জয় (২০), শিলঘাট গ্রামের কায়ছার আহমদের ছেলে সানি আহমদ (২২), বারকোট গ্রামের মরহুম মকবুল আলীর ছেলে তাজ উদ্দিন (৪০), দত্তরাইল বাসাবাড়ি এলাকার আলাই মিয়ার ছেলে মিনহাজ আহমদ (২৩) ও ঘোষগাঁও ফুলবাড়ি গ্রামের মোবারক আলীর ছেলে গৌছ উদ্দিন (৩৫)।

এ হত্যাকাণ্ডে গোলাপগঞ্জ থানায় পৃথকভাবে ছয়টি মামলা ও আদালতে আরো একটি মামলা করা হয়। মামলায় আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীসহ কয়েক শ’ ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।

পুলিশ সূত্র জানায়, সরকার পতনের কারণে সেসময় লাশগুলো ময়নাতদন্ত করা হয়নি। তাই ময়নাতদন্তের জন্য মামলাগুলোর তদন্ত কর্মকর্তারা আদালতে আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে কবর থেকে লাশ তোলার আদেশ দিয়েছেন।

গোলাপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মো: আব্দুন নাসের বলেন, ইতোমধ্যে চারজন ম্যাজিস্ট্রেটকে লাশ চারটি তোলার জন্য দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেটদের সাথে আলোচনা করে যেকোনো সময় কবর থেকে তাদের লাশ তোলা হবে।


আরো সংবাদ



premium cement