৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৫ আশ্বিন ১৪৩১, ২৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`

এক কেজি সবজির দাম দিয়ে আধা কেজি কিনতে হয়

- ছবি : নয়া দিগন্ত

হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে এক কেজি সবজির দাম দিয়ে আধা কেজি সবজি কিনতে হচ্ছে খেটে খাওয়া মানুষজনকে। শাক-সবজির বাজারে বাহারি রঙের ভরপুর সবজির আমদানি থাকলেও দাম নাগালের বাহিরে। দেশব্যাপী শাক-সবজির দাম অত্যধিক হওয়াতে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।

শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার কয়েকটি বাজার ঘুরে ও ক্রেতা বিক্রেতার সাথে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

জানা গেছে, বছরব্যাপী কখনো অতিবৃষ্টিতে বন্যা আবার কখনো অনাবৃষ্টিতে খরা অর্থ্যাৎ প্রাকৃতিক প্রতিকূলতার কারণে এলাকাভিত্তিক সবজি চাষিরা আশানুরূপ শাক-সবজির ফলন পেতে ব্যর্থ হয়েছেন। এর ফলশ্রুতিতে শাক-সবজির দাম বেসামাল হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে আলুর বাজার একেবারেই নিয়ন্ত্রণহীন থাকায় আলুর দাম লেজেগোবরে অবস্থায় পতিত হয়েছে।

বাজারে এ সময়ে আলুর দাম ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজি থাকার কথা হলেও ৬০ টাকা কেজির নিচে আলু বিক্রি হচ্ছে না।

এদিকে ২০ টাকার লালশাক ও পুঁইশাক ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। ৩০ টাকার করলা ৬০ টাকা, ৪০ টাকার কচুর মুখী ৮০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা পটল ৭০ টাকা ও ২০ টাকার পেঁপে ৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে সবরকম সবজির দাম দ্বিগুণেরও বেশি।

শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার ড্রাইভার বাজারের সবজি বিক্রেতা সবুজ মিয়া জানান, ‘পাইকারি বাজারে সবজির দাম অস্থিতিশীল অবস্থা। এলাকার সবজির উৎপাদন চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল তাই দাম অত্যধিক। বিভিন্ন জেলা থেকে সবজি আসে বিধায় বাজারে সবজির চাহিদা মোটামুটি সামঞ্জস্য বজায় রাখতে পারে। তবে শীতের সবজি বাজারে এলে দাম কিছুটা কমতে পারে।‘

সবজি ক্রেতা জুয়েল মিয়া বলেন, ‘সবজি কিনতে বাজারে গিয়ে দাম শুনে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হতে হয়। এক কেজি সবজির দাম দিয়ে আধা কেজি কিনে সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে। বাজারে শাক-সবজিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের অগ্নিমূল্যের পেছনে সিন্ডিকেটের কারসাজি থাকতে পারে। তাই প্রশাসনের হস্তক্ষেপ ও বাজার মনিটরিং করা অত্যাবশ্যকীয় হয়ে পড়েছে।‘


আরো সংবাদ



premium cement