শ্রীমঙ্গলে সাবেক মেয়র মহসিনের বাসায় হামলা : ৩৪ জনের নামে মামলা
- শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) সংবাদদাতা
- ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২২:৩৮
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল পৌরসভার সাবেক মেয়র ও বিএনপি নেতা মহসিন মিয়ার বাড়িতে হামলার ঘটনায় ৩৪ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করা হয়েছে।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) মৌলভীবাজার আদালতে ইউসুফ মিয়া এ মামলাটি করেন। তিনি মেয়র মহসিন মিয়ার কর্মচারী বলে জানা গেছে।
মামলার বাদি ইউসুফ মিয়া জানান, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকার কারণে বিচার বিভাগ দলীয়করণ হওয়ায় তখন মামলা করা যায়নি।
মামলায় আসামীরা হলেন ১. মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও দ্বারিকা পাল মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ সৈয়দ মনসুরুল হক (৫৫), ২. জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মিসবাহুর রহমান (৬০), ৩. যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও মৌলভীবাজার পৌরসভার সাবেক মেয়র ফজলুর রহমান (৫০), ৪. যুবলীগ নেতা ও কমলগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র জুয়েল আহমেদ (৪০), ৫. শ্রীমঙ্গল উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইউসুফ আলী (৬০), ৬. জহর তরফদার (৪৮), ৭. এস কে দাশ সুমন (৪৫), ৮. সৈয়দ রেজাউর রহমান সুমন (৪৮), ৯. আকরামুল হক সোহাগ (৪৫), ১০. রোমান খান (৪২), ১১. তানভীর আহমেদ নাঈম (২২), ১২. আব্দুল মতিন (৪৮), ১৩. আশিকুর রহমান সাগর প্রকাশ স্টেপ সাগর (২৪), ১৪. আইয়ুবুর রহমান আকাশ (২৮), ১৫. দেলোয়ার হোসেন রাহিদ (৪৫), ১৬. তামিম মিয়া (৪০), ১৭. সাদিকুল ইসলাম (৩৫), ১৮. এ এফ এম হিমেল (৪০), ১৯. রাজু দেব রিটন (৩২), ২০. আকাশ দেব জুয়েল (২৮), ২১. আমিরুল ইসলাম চৌধুরী আমিন (৩৫), ২২. পাবেল মিয়া (৪২), ২৩. কৌশিক ভট্টাচার্য্য (৪০), ২৪. কাসুম মিয়া (৪২), ২৫. পংকজ নাগ (৪৫), ২৬. আজিজুল রহমান নাঈম (২৬), ২৭. সুমেল চৌধুরী (৪০), ২৮. উজ্জ্বল কান্তি দাশ (৩০), ২৯. মোসাহিদ মিয়া (৩০), ৩০. হারুনুর রশিদ (৫০), ৩১. দীপ সাগর (২৫), ৩২. তাহের খান মুন্না (৩৫), ৩৩. আবুল মাসুম রনি (২৫), ৩৪. কায়েস আহমেদ (৩৫)।
মামলার স্বাক্ষীরা হলেন, ১. মো. মহসিন মিয়া, ২. মুরাদ হোসেন সুমন, ৩. মোশাররফ হোসেন রাজ, ৪. রুকন উজ জামান, ৫. শাহাদাৎ হোসেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালে শ্রীমঙ্গল পৌরসভা নির্বাচনে খেজুর গাছ প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে মহসিন মিয়া বিজয়ী হন। সে সময়ে মহসিন মিয়ার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন আওয়ামী লীগের নেতা সৈয়দ মনসুরুল হক নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্ধীতা করেন।
তারা নির্বাচন প্রচার-প্রচারণা চলাকালীন সময়ে মহসিন মিয়ার সমর্থককে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি ও হত্যার হুমকি দেয়। এছাড়াও আসামিরা শতাধিক মোটরসাইকেল নিয়ে মহসিন মিয়ার বাসার গেইটের সামনের রাস্তা ব্যারিকেড দিয়ে বাসা ঘেরাও করে উচ্ছৃঙ্খল আচরণসহ বিভিন্ন ধরণের স্লোগান দিয়ে গালাগাল করে। এ সময় স্বাক্ষীর বাসার ভিতরে ককটেল বিস্ফোরণসহ এলোপাতাড়ি ঢিল ছুড়ে অরাজকতা, ত্রাস ও ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে।
মামলায় উল্লেখিত ২ নম্বর আসামি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবং ৩ নম্বর আসামি মৌলভীবাজার পৌরসভার মেয়র ও ৪ নম্বর আসামি কমলগঞ্জ পৌরসভার মেয়র থাকা অবস্থায় এবং ৬ নম্বর ও ১২ নম্বর আসামি সরকারি কর্মচারী থাকা সত্ত্বেও তারা প্রতিনিয়ত নির্বাচনী আইন লঙ্ঘন করে ১ নম্বর আসামির পক্ষে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণাসহ ১ নম্বর স্বাক্ষীর কর্মী-সমর্থকদের হুমকি দেয়।
৬ নম্বর এবং ১২ নম্বর আসামি সরকারি কর্মচারী হয়েও তারা নৌকা প্রতীকের পক্ষে সকল সরকারি কর্মচারীদের ভয়-ভীতিসহ চাকরি হারানোর হুমকি দিয়ে নির্বাচনকে প্রভাবিত করে প্রকাশ্যে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষে মিছিল, সমাবেশ ইত্যাদি করেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা